লিথুয়ানিয়া, উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি ছোট কিন্তু আধুনিক ও উন্নত দেশ। ভ্রমণ ও বাণিজ্যের জন্য দেশের বিমানবন্দরগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিথুয়ানিয়ায় কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিমানবন্দর রয়েছে, যার মধ্যে Vilnius Airport, Kaunas Airport, এবং Palanga Airport সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ভিলনিয়াস শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
ভিলনিয়াস বিমানবন্দর লিথুয়ানিয়ার প্রধান ও সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর। এটি ১৯৩২ সালে স্থাপিত হয় এবং সময়ের সাথে সাথে এটি আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট সংযোগ রয়েছে।
জনপ্রিয় এয়ারলাইনগুলো যেমন Ryanair, Wizz Air, Lufthansa, LOT Polish Airlines এখানে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
ডিউটি-ফ্রি দোকান, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, ভিআইপি লাউঞ্জ, কার রেন্টাল সার্ভিস ও পর্যাপ্ত ট্যাক্সি সার্ভিস উপলব্ধ।
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সহায়তা সেবা।
শহরের সঙ্গে সংযুক্ত বাস ও ট্রেন সার্ভিস রয়েছে।
ট্যাক্সি ও রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ (যেমন Bolt, Uber) সহজলভ্য।
কাউনাস শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
এই বিমানবন্দরটি লিথুয়ানিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর এবং Ryanair-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র (hub)। এটি মূলত বাজেট এয়ারলাইন যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয়।
বেশিরভাগ ইউরোপীয় শহরের জন্য বাজেট ফ্লাইট উপলব্ধ।
ফ্রি ওয়াইফাই, খাবারের দোকান, গাড়ি ভাড়া এবং পার্কিং সুবিধা রয়েছে।
সহজ ন্যাভিগেশন ও ছোট আকারের কারণে যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক।
পশ্চিম লিথুয়ানিয়ার পালাঙ্গা শহরের কাছে, বাল্টিক সাগরের তীরে।
এটি একটি ছোট বিমানবন্দর, মূলত সমুদ্র উপকূলীয় পর্যটকদের জন্য ব্যবহৃত হয়। গ্রীষ্মকালে এই বিমানবন্দরের যাত্রী সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
সরাসরি ফ্লাইট পাওয়া যায় যেমন কোপেনহেগেন, রিগা, ও ওসলো-র মতো শহরে।
মৌসুমভিত্তিক ট্যুরিস্ট ফ্লাইট চালু হয় গ্রীষ্মে।
ছোট হলেও সব প্রয়োজনীয় আধুনিক সুবিধা উপলব্ধ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
লিথুয়ানিয়া তার বিমানবন্দরগুলোর পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে। পরিবেশবান্ধব, ডিজিটাল ও স্মার্ট বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে, যা যাত্রীসেবার মান আরও উন্নত করবে।
লিথুয়ানিয়ার বিমানবন্দরগুলো আধুনিক, কার্যকর ও যাত্রীবান্ধব। দেশের তিনটি মূল বিমানবন্দর দেশের সঙ্গে বাইরের বিশ্বের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। ইউরোপের যে কেউ চাইলে খুব সহজে লিথুয়ানিয়ায় প্রবেশ করতে পারেন এই বিমানবন্দরগুলোর মাধ্যমে। পর্যটন, ব্যবসা কিংবা শিক্ষার উদ্দেশ্যে লিথুয়ানিয়া ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে, এই বিমানবন্দরগুলো আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।