এস্তোনিয়া ইউরোপের শেনজেন অঞ্চলের একটি দেশ, যেখানে অভিবাসনের বেশ কয়েকটি সুযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি স্থায়ী অভিবাসনের সুযোগ সীমিত। সাধারণত, শিক্ষার্থী, কর্মী, বা ব্যবসায়ী হিসেবে এস্তোনিয়ায় যাওয়ার পরে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া সহজ হয়।

১. ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে অভিবাসন (D-Visa & Work Permit)

সহজ কারণ: চাকরি পেলে কোম্পানি স্পন্সর করতে পারে।
এস্তোনিয়ায় দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ আছে। বিশেষ করে আইটি, নির্মাণ, কৃষি, ও লজিস্টিক খাতে কাজের চাহিদা বেশি।

কাজ পাওয়ার উপায়:

কাজের জন্য অনলাইন পোর্টাল:

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:

চাকরির অফার লেটার (Job Offer)

কোম্পানি স্পন্সরশিপ

বেতন কমপক্ষে €1,500+ হলে EU Blue Card এর সুযোগ পাওয়া যেতে পারে

২. স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে অভিবাসন (Study Visa – D-Visa)

সহজ কারণ: পড়াশোনা শেষে কাজের অনুমতি পাওয়া যায়।
এস্তোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কম খরচে পড়াশোনার সুযোগ আছে।

শিক্ষাবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

সেরা বিশ্ববিদ্যালয়:

স্টুডেন্ট ভিসা সুবিধা:

সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পার্ট-টাইম কাজের অনুমতি

পড়াশোনা শেষে ৯-১২ মাসের জব সিকার ভিসা

চাকরি পেলে রেসিডেন্স পারমিটের সুযোগ

৩. স্টার্টআপ বা ব্যবসার মাধ্যমে অভিবাসন (Startup Visa & Business Visa)

সহজ কারণ: ব্যবসা শুরু করলে সহজে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়া যায়।
এস্তোনিয়ার E-Residency Program ও Startup Visa উদ্যোক্তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ দেয়।

স্টার্টআপ ভিসা পেতে যা লাগবে:

ইনোভেটিভ বিজনেস আইডিয়া

এস্তোনিয়ান ইনভেস্টর বা কোম্পানির স্বীকৃতি

কমপক্ষে €16,000 বিনিয়োগ

ই-রেসিডেন্সি ও ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট:

৪. পারিবারিক স্পন্সরশিপ ও ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন (Family Reunification Visa)

সহজ কারণ: পরিবারের সদস্যরা নাগরিক হলে স্পন্সর করতে পারে।
যদি কোনো আত্মীয় বা জীবনসঙ্গী এস্তোনিয়ায় থাকে এবং রেসিডেন্ট হয়, তাহলে D-Visa বা রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করা যায়।

কারা আবেদন করতে পারবেন?

জীবনসঙ্গী (Spouse)

সন্তান বা পিতা-মাতা

৫. শেনজেন ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে সুযোগ তৈরি করা (Schengen Visa – Type C)

সহজ কারণ: এস্তোনিয়া ভ্রমণ করে নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।
অনেকেই পর্যটক হিসেবে এস্তোনিয়া গিয়ে চাকরির অফার পেলে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করেন।

কীভাবে আবেদন করবেন?

ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ফ্লাইট বুকিং, হোটেল বুকিং ইত্যাদি দরকার হবে।

৬. ব্লু কার্ডের মাধ্যমে উচ্চ বেতনের চাকরির সুযোগ (EU Blue Card)

সহজ কারণ: ব্লু কার্ড থাকলে ইউরোপের অন্যান্য দেশে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।
এস্তোনিয়ায় উচ্চ বেতনের (সাধারণত €2,000+ মাসিক) চাকরি পেলে EU Blue Card এর জন্য আবেদন করা যায়।

ব্লু কার্ড পাওয়ার শর্ত:

উচ্চশিক্ষা বা বিশেষ দক্ষতা থাকা প্রয়োজন

সরকার অনুমোদিত ন্যূনতম বেতন হতে হবে

উপসংহার: বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়ার সবচেয়ে সহজ অভিবাসন উপায়

সর্বোত্তম উপায়: ওয়ার্ক ভিসা (D-Visa), স্টুডেন্ট ভিসা, ও স্টার্টআপ ভিসা

দ্রুততম উপায়: ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ বা ব্লু কার্ড

পরিকল্পিত উপায়: ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে নেটওয়ার্ক তৈরি করা

যারা এস্তোনিয়ায় যেতে চান, তারা আগে ভালো করে গবেষণা করে, সঠিক ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন।

হ্যাশট্যাগ:
Like this:
Like Loading...