শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০১ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের মাটিতে বৃহত্তম বিমানঘাঁটি বানাচ্ছে চিন

  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫

চিনা বায়ুসেনাকে নয়া বিমানঘাঁটি তৈরির জন্য জমি দিচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের লালমণিরহাট জেলায় প্রায় ৭০০ একর জমি ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে চিনের জন্য। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করে বলা হয়েছে, এই খবরে দুশ্চিন্তা বেড়েছে নয়াদিল্লির। কারণ, চিনা সেনা একবার বাংলাদেশের বুকে তাদের সেনাঘাঁটি বানিয়ে ফেলতে সেটা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড়সড় হুমকি। চিন্তা বাড়বে শিলিগুড়ি করিডর নিয়েও যা চিকেনস নেক বলে পরিচিত। ভারত ও তার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ৬০ কিলোমিটার লম্বা ও ২২ কিলোমিটার চওড়া এই চিকেনস নেক। নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও চিনের কাছাকাছি হওয়ায় ভারতের জন্য চিকেনস নেকের অবস্থানগত গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।

রিপোর্টে দাবি, চিকেনস নেকের খুব কাছে এই বিমানঘাঁটি নির্মিত হতে চলেছে। একসঙ্গে ৭০ টিরও বেশি যুদ্ধবিমান এখান থেকে উড়তে ও নামতে পারবে। এখানে তিনটি মূল বিভাগ থাকবে। একটি কমব্যাট অপারেশন, একটি রক্ষণাবেক্ষন ও মেরামতির জন্য, আরেকটি গবেষণামূলক কাজ চালাবে। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকেই নাকি এই বিমানঘাঁটির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। যদিও এই দাবির স্বপক্ষে কোনও নথি ওই প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়নি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সাম্প্রতিক সাক্ষাতে যে এই নিয়ে কোনও কথা হয়েছে তারও কোনও প্রামাণ্য নথি কেউ দেখতে পারেনি।

তাই এই রিপোর্টের সারবত্তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়েছে। তবে বাংলাদেশ যেভাবে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে দোস্তি বাড়াচ্ছে সেটাকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না ভারত। পড়শি মুলুকের অশান্ত সময়ে চাল থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ– সবই ভারত বিলিয়েছে অকাতরে। বাংলাদেশের ধর্মীয় গোঁড়া মুরুব্বিরা যখন ভারতের বিরুদ্ধে সে দেশের গণমাধ্যমে বিষ ভাষণ দিচ্ছেন নিয়মিত, সেই অবস্থাতেও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে খাদ্যের সরবরাহে ঘাটতি হতে দেয়নি ভারত। কিন্তু এত কিছুর পরেও বাংলাদেশ সরকার এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করতে জমি দিচ্ছে, দাবি প্রতিবেদনে।

সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে। সেই কাজের জন্য আবার সাবকন্ট্রাক্টর ঠিক করা হয়েছে একটি পাক সংস্থাকে, দাবি সূত্রের। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, আসন্ন ১৭ এপ্রিল ঢাকাতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সচিব পর্যায়ে আলোচনা হতে চলেছে। বাংলাদেশের বিদেশসচিব জসিমউদ্দিন ও পাক বিদেশসচিব আমনা বালোচ ওই বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন বলে সূত্রের খবর। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা চুক্তি, কৃষি ও সাংস্কৃতিক তথ্য আদানপ্রদানের সম্ভাবনা রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com