বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টেসলার শোরুমের সামনে চলছে বিক্ষোভ। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি ও যুক্তরাজ্যের লন্ডনে মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন অনেকে। তাদের অভিযোগ, সরকারের কাজে মাস্কের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।
মার্কিন প্রশাসনের দাফতরিক কাজে হস্তক্ষেপ যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ধনকুবের ইলন মাস্কের জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) দায়িত্ব নিয়ে হাজারো প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ছাটাইয়ের পর থেকে মাস্কের বিরুদ্ধে জনগণের অসন্তোষ চরমে উঠেছে। যার প্রভাব পড়ছে মাস্কের ভ্যভসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ মার্চ) লন্ডনের নর্থ অ্যাকটনে টেসলা শোরুমের সামনে একদল মানুষ জড়ো হন। ‘টেসলা কিনবেন না’ এবং ‘ইলনকে দেউলিয়া করুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায় তাদের হাতে।
গাড়ি বিক্রি চললেও, বাইরে প্রতিবাদকারীরা মাস্কের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। তাদের দাবি, মাস্ক এখন শুধু একজন ব্যবসায়ী নন, বরং সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রেও চলছে একই ধরনের প্রতিবাদ। ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউনে টেসলা শোরুমের সামনে মানুষ প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি, মাস্কের সরকারি ভূমিকা যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক। মেরিল্যান্ডের রকভিলে, টেসলার সার্ভিস সেন্টারের সামনে প্রায় ৫০০ লোক জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করেন।
তাদের দাবি, মাস্ক স্বৈরাচারী নীতির দিকে এগোচ্ছেন এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার বাজেট কমিয়ে দিচ্ছেন। তারা টেসলা মালিকদের গাড়ি ও শেয়ার বিক্রির জানান, যেন প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফক্স নিউজের একটি সাক্ষাৎকারে ইলন মাস্ক বলেন, সরকারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু তিনি যা করছেন তা শুধুমাত্র দেশের উন্নতির কথা ভেবে করছেন।
Like this:
Like Loading...