রমজান মাসের শুরু থেকেই পর্যটকদের কম আনাগোনা হচ্ছে সাগরকন্যা পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়। প্রতিদিনের চিরাচরিত ব্যস্ততা ও পর্যটকে মুখরিত সৈকত এখন একেবারে সুনশান।
গতকাল শনিবার সৈকতের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেকটাই পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা সৈকত। অন্যান্য সময়ে মানুষের আনাগোনা বেশি থাকলেও রমজানের শুরু থেকেই কমে গেছে। বিচে বিছানো বেঞ্চগুলো খালি পড়ে আছে। স্পিডবোট ফাঁকা পড়ে আছে। যা অন্য সময়ে পর্যটকরা সাগরে রাইড করতেন। পর্যটক কম থাকায় অলস সময় পার করছেন সবাই।
এদিকে পর্যটকশূন্য থাকায় হতাশ হোটেল ব্যবসায়ীরা। কারণ তাদের রুম ফাঁকা পড়ে আছে। তবে তারা আশা করছেন, রমজানের শেষ দিকে কিছু পর্যটক আসতে পারে।
কুয়াকাটায় মানুষের আনাগোনা কম হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে শুঁটকি, ছাতা, বেঞ্চ এবং ঝিনুক বিক্রেতা ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। মানুষশূন্য থাকায় অনেকে তাদের ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন।
সৈকতের আচার দোকানি আরাফাত হোসেন বলেন, এখন পর্যটক নেই। অনেক দোকান বন্ধ রয়েছে। আমরা কিছু দোকান খোলা রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু ইফতারের আগেই বন্ধ করতে হচ্ছে। কোনো ধরনের বেচাকেনা নেই।
পর্যটকদের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করেন ফটোগ্রাফার রহিম। তিনি বলেন, রমজান শুরুর পর থেকেই সৈকত জনশূন্য। মার্চ মাসে আমরা প্রতিবারই পর্যটকদের ভিড় পাই। কিন্তু এবার সেই চিত্র পাল্টে গেছে। ক্যামেরা নিয়ে সৈকতে চলে আসি, কিন্তু কেউ নেই। একদিনে একশ টাকাও কামাতে পারি না।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, রমজান মাসের প্রথম দিকে পর্যটকদের সংখ্যা কম থাকে। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে, ২০ রমজানের পর কিছু বুকিং পাওয়া যায়। ঈদের জন্য আমাদের আরও বুকিংয়ের আশা রয়েছে। তবে রমজানে বরাবরই পর্যটন নগরীগুলো পর্যটকশূন্য থাকে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, পর্যটক না থাকলেও আমাদের টহল টিম সৈকতে দায়িত্ব পালন করছে। যাতে এখানে নিরাপত্তা বজায় থাকে।