বিষয়টি নিয়ে এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবও দিশাহারা। সংগঠনটি গত বুধবার তাদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা-সচিব ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। প্রয়োজনে তাঁরা সৌদি সরকারের হস্তক্ষেপ চান বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছি আমরা এজেন্সি মালিকরা। কারণ এ সিদ্ধান্তে আমাদের কোনো হাত না থাকলেও ওমরাহযাত্রীরা মনে করছে, এজেন্সির ভুলের কারণেই ভিসা হচ্ছে না। অন্যদিকে এয়ারলাইনসগুলোও তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। কিন্তু ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে পকেট থেকে ভর্তুকি হলেও দিতে হবে। ফলে ব্যবসায় লাভ তো দূরের কথা, পুঁজি হারিয়ে রাস্তায় নামার জোগাড় হবে।’
আলফু-জোনায়েদ হজ ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার এজেন্সির ৩০ জন ওমরাহযাত্রীর আগামী ১৬ মার্চ সৌদিতে যাওয়ার কথা। সে অনুযায়ী আমি তাদের বিমানভাড়াসহ বাড়িভাড়া ও ভিসা বাবদ ৪২ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন ভিসা না পাওয়ায় তারা আমাকেই দায়ী করছে। তারা টকা ফেরত চাচ্ছে, অথচ এয়ারলাইনসগুলো টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। ব্যবসার গুডইউল ধরে রাখতে হলে তাদের টাকা আমাকে ফেরত দিতে হবে। নইলে আমার অফিস-বাসাবাড়ি কিছুই রাখবে না তারা। বড়ই বিপদে আছি।’
টিকিটের টাকা কেন ফেরত দেওয়া হচ্ছে না, জানতে সাউদিয়ার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) আবু আহমেদ শুভর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদকের পরিচয় দিয়ে এসএমএস করা হলেও সাড়া মেলেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এযাবত্ প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি ওমরাহযাত্রী ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গেছে। তাদের ওপেন পলিসির কারণে পবিত্র রমজানে ধারণক্ষমতার বাইরে কয়েক লাখ লোক মক্কায় প্রবেশ করেছে। মক্কায় ভিড় কমানো বা স্থান সংকুলানের জন্য মোফা ইস্যুর বিষয়টি হ্রাস করা হয়েছে।