যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রত্যেককে অবিলম্বে ফেডারেল সরকারের কাছে নিবন্ধন করতে হবে। যারা কাজটি না করবে, তাদেরকে জরিমানা, কারাদ- কিংবা উভয়টির মুখে পড়তে হবে।
এমনকি আইনগত কোনো মর্যাদা না থাকা ১৪ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সী প্রত্যেককেও নিবন্ধন করতে হবে বলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের শাখা ইউএস সিটিজেনশিপ ও ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। এতে বলা হয়, প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিবন্ধনের সময় আঙুলের ছাপ ও ঠিকানা দিতে হবে। আর ১৪ বছর বয়সের কম শিশুদের অভিভাবকদের নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানকারী লোকদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযান জোরদার করার প্রেক্ষাপটে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হলো।
কেন এইে নিবন্ধন?
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের জন্য নিবন্ধন করার আইনটি অনেক আগের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ই আইনটি করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে এটি হালনাগাদও করা হয়েছে। তবে খুব কম সময়ই তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পরিবর্তন আসছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন আমাদের সকল অভিবাসন আইন বাস্তবায়ন করবেন। আমাদের দেশে কারা বাস করছে, তা আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। আমাদের দেশ ও দেশবাসীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য তা জানতেই হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, নিবন্ধনের আইনটি পালন করতে ব্যর্থ হওয়াদের কোনো অজুহাতই শোনা হবে না। ইউএসসিআইএসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যেসব লোক নিবন্ধন করবে, তাদেরকে এক ধরনের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তাদেরকে এসব পরিচয়পত্র সবসময় সাথে রাখতে হবে। তবে মানবাধিকার কর্মীরা এর তীব্র সমালোচনা করেছেন। ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ল সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেইদি আল্টম্যান এক বিবৃতিতে নিবন্ধনে কড়াকড়ি আরোপকে মার্কিন ইতিহাসের লজ্জাজনক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন।