রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন

স্পেনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিবাসন

  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

স্পেনের মোট জনসংখ্যার ১৮.১ শতাংশের জন্ম হয়েছিল অন্য কোনো দেশে৷ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অভিবাসনকে কাজে লাগানোর এক চমৎকার উদাহরণ হয়ে উঠেছে দেশটি৷

২০০৮ সালের আর্থিক মন্দার পর বেশ কয়েকবছর হতাশায় নিমজ্জিত ছিল স্পেনের অর্থনীতি৷ কিন্তু বর্তমানে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় সামনের সারিতে রয়েছে৷ বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্পেনের এই উন্নতির পেছনে রয়েছে দেশটির উদার অভিবাসন নীতি৷

ব্রিটেনের সাপ্তাহিক পত্রিকা দ্য ইকোনোমিস্ট লিখেছে যে স্পেনের বাৎসরিক জিডিপি বৃদ্ধির পেছনে দেশটির শক্তিশালী শ্রমবাজার এবং উচ্চমানের অভিবাসন ভূমিকা রাখছে৷ এর ফলে অর্থনৈতিক উৎপাদন বেড়েছে৷

গত অক্টোবরে সংসদে দেয়া এক বক্তব্যে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ৷ তিনি বলেন, ‘‘অভিবাসন শুধু মানবতাবাদের প্রশ্ন নয়…, এটা আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং কল্যাণ রাষ্ট্রের স্থায়িত্বের জন্যও দরকারি… এটির ভালো ব্যবস্থাপনা মুখ্য ব্যাপার৷’’

অভিবাসন এবং অভিবাসীদেরকে সমাজের মূলস্রোতে একীভূত হতে উৎসাহিত করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে স্পেন৷ নিয়মিত কর প্রদান করা অভিবাসী কর্মী বাড়াতে এবং বুড়িয়ে যাওয়া জনশক্তির নেতিবাচক প্রভাব কমাতে অনেক অনিবন্ধিত অভিবাসীকে বৈধ করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি৷ ২০২৭ সাল নাগাদ তিন লাখের মতো অনিয়মিত অভিবাসীকে বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি দিতে চায় স্পেন৷ দেশটিতে বর্তমানে অনিবন্ধিত অভিবাসীর সংখ্যা ছয় লাখের মতো৷

১৯৮৬ থেকে ২০০৫ সাল অবধি সময়েও বারো লাখের মতো অনিয়মিত অভিবাসীকে বৈধ করে নিয়েছিল স্পেন৷ দেশটির বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনিয়মিত অভিবাসীরা অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে কাজ করে অর্থ উপার্জন করলেও সরকারের বিশেষ লাভ হয় না৷ কারণ তখন তারা আয়কর দেন না বা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অবদান রাখেন না৷ ফলে তাদেরকে বৈধ করে নেয়াটা সুবিধাজনক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷

গত বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, স্পেনের মোট জনসংখ্যার ১৮.১ শতাংশের জন্ম স্পেনের বাইরে হয়েছিল৷ আর তাদের মধ্যে ৪২ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে৷

অভিবাসীদের নিয়ে স্পেনের মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ধারণাই বেশি৷ স্ট্যাটিসটিকার সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, দেশটির ৭৫ শতাংশ তরুণই মনে করেন যে অভিবাসীদের বিভিন্ন প্রথার প্রতি সম্মান জানানো উচিত যতক্ষণ না তা দেশটির সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হচ্ছে৷ কিছু মানুষ অবশ্য এমনটাও ভাবেন যে অভিবাসীদের কারণে অপরাধ বেড়েছে৷

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com