বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলতে গেলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা আসবেই, কারণ এটি এমন এক স্থান যেখানে পৃথিবী বদলে দেয়া বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের শিক্ষাজীবনের শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, হেনরি কিসিঞ্জার, বারাক ওবামা, বিল গেটস, জন এফ কেনেডি, টি এস ইলিওট, মার্ক জাকারবার্গসহ আরও অনেক বিখ্যাত নাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অনেক ক্ষেত্রে ইতিহাসের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে পড়াশোনা করেছেন আমেরিকার ৮ প্রেসিডেন্ট, ১৫৮ নোবেল বিজয়ী, ১০ অস্কার বিজয়ী, ৪৮ পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং ১০৮ জন অলিম্পিক মেডেল জয়ী।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলে কেমন হয়! হ্যা, স্কলারশিপ নিয়ে এমবিএ পড়ার তেমনই একটি সুযোগ দিচ্ছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। স্কলারশিপটির কেতাবি নাম ‘হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এমবিএ স্কলারশিপ’। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ৩১ মে ২০২৫।
১৬৩৯ সালে ‘নিউ কলেজ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল খ্রিস্টীয় চার্চের যাজকদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। শুরুতেই এর নাম ‘হার্ভার্ড’ ছিল না। চার্লসটাউনের মন্ত্রী ছিলেন জন হার্ভার্ড। তিনি এই বিদ্যাপীঠেরই ছাত্র ছিলেন। ১৬৩৮ সালে মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর সম্পদের প্রায় অর্ধেক ও তাঁর তৈরি করা বিশাল বইয়ের লাইব্রেরি তিনি নিউ কলেজের জন্য দান করে যান। পরবর্তীতে ১৬৩৯ সালে জন হার্ভার্ডের নামানুসারে নিউ কলেজের নাম রাখা হয় ‘হার্ভার্ড কলেজ।’
সুযোগ-সুবিধা—
*৭৫ শতাংশ টিউশন ফি প্রদান করবে;
*ভ্রমণ খরচ প্রদান করবে;
আবেদনের যোগ্যতা
*যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন;
*ভালো একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের অধিকারী হতে হবে;
*হার্ভার্ডের এমবিএ প্রোগ্রাম থেকে ভর্তির অফার লেটার পেতে হবে;
*স্নাতকে ভালো ফলধারী হতে হবে;
*জিম্যাট স্কোর প্রদান করতে হবে;
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
*জীবনবৃত্তান্ত (সিভি);
*প্রার্থীর ছবি;
*জিম্যাট স্কোর;
*রেফারেন্স লেটার;
নথিপত্রের একটি অনুলিপি [email protected] এই ঠিকানায় পাঠাতে হবে;
আবেদন প্রক্রিয়া—
অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে ও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ৩১ মে ২০২৫;