মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার দিকে) ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে শপথ নেন তিনি।
শপথের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার উদ্বোধনী ভাষণ প্রদান করেন। বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকার স্বর্ণযুগ এখন থেকে শুরু হলো। এখন থেকে সামনের দিনগুলোয় আমাদের দেশ আরও সমৃদ্ধ আর সম্মানজনক অবস্থানে উঠে আসবে। আমার একমাত্র লক্ষ্য হবে আমেরিকা ফার্স্ট।’
ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করা হবে, আমাদের নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা হবে, পুনরায় ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা হবে।’
‘আমরা একটি গর্বিত, সমৃদ্ধশালী ও স্বাধীন জাতি তৈরি করার লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব,’ বলেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট।
ক্রিস্টোফার ম্যাকিওর ‘ওহ, আমেরিকা’ গানের মাধ্যমে শপথের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিরাও। ছিলেন বিদায়ী ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এবং সেকেন্ড জেন্টলম্যান ডগ এমহফ-সহ বিদায়ী প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও।
ট্রাম্পের কিছুক্ষণ আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা জেডি ভান্স। এ সময় তোপধ্বনির মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে হোয়াইট হাউসে চা পান ও বৈঠক করেন বাইডেন ও ট্রাম্প। এরপর তিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে একটি লিমোজিনে চড়ে হোয়াইট হাউস থেকে ক্যাপিটল হলে পৌঁছান।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের উত্তর পোর্টিকোতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ওয়েলকাম হোম’ বলে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। হোয়াইট হাউসে প্রবেশের আগে সাংবাদিকেরা চিৎকার করে প্রশ্ন করলেও কোনো প্রেসিডেন্টই উত্তর দেননি। আজ প্রথমবারের মতো এই জুটির দেখা হয়েছে।
নির্বাহী ক্ষমতার সীমা বাড়ানো, লাখ লাখ অভিবাসীকে বহিষ্কার, রাজনৈতিক শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া এবং বিশ্বমঞ্চে আমেরিকার ভূমিকা পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।