ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাধারণত ৮-৯ মাস সময় লাগে। এই দীর্ঘ সময়ের পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। নিচে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো, কাজের প্রসেস সম্পর্কে আরেকটি পোস্ট রয়েছে।
লিংকঃ
https://www.facebook.com/share/p/1E6ESTgpaC/
১. ডকুমেন্ট যাচাই ও প্রস্তুতি
ক্রোয়েশিয়ার নিয়োগদাতার (employer) কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হয় এবং সেগুলোর সঠিক যাচাই ও প্রক্রিয়াজাত করতে সময় লাগে।
বাংলাদেশ থেকে যেমন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, মেডিকেল চেকআপ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতেও অনেক সময় ব্যয় হয়। দিল্লিতে অবস্থিত এম্বাসি হতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এটাচটেশন করে আনতেও ১ মাস সময় লেগে যায়।
২. ফাইল প্রক্রিয়াকরণে জটিলতা
HZZ অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া:
HZZ অনলাইন পোর্টালে ফাইল জমা দেওয়ার পরেও প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় না, অর্থাৎ নেগেটিভ আসতে পারে।
ফাইল যাচাই করতে পুলিশ স্টেশন থেকে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এবং প্রার্থী উভয়ের বিভিন্ন ডকুমেন্টস চাওয়া হয়।
যাচাই-বাছাইয়ের পর নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে ইমেইল করা হয়। ফাইল পজিটিভ হলে ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করা হয়।
২০২৫ সালে যাচাই প্রক্রিয়া আরও কঠোর হবে, কারণ অনেক বাংলাদেশি কর্মী ক্রোয়েশিয়ায় কাজ না করে অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।
বিশেষ সতর্কতা:
ক্রোয়েশিয়ার যাগ্রেব সিটিতে বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু বন্ধ রয়েছে। যারা ২০২৫ সালে পারমিট পাবেন, তারা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান।
৩. সরকারি অনুমোদন প্রক্রিয়া
ক্রোয়েশিয়ার সরকার প্রত্যেক ওয়ার্ক পারমিট ইস্যুর আগে লেবার মার্কেট টেস্ট পরিচালনা করে। এতে নিশ্চিত করা হয় যে সংশ্লিষ্ট পদের জন্য স্থানীয় কর্মী পাওয়া যাচ্ছে না। এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ।
৪. ভিসা প্রসেসিং
ওয়ার্ক পারমিট ইস্যুর পর বাংলাদেশে VFS Global-এর মাধ্যমে ভিসার আবেদন জমা করতে হয়।
দিল্লি থেকে ভিসা স্ট্যাম্পিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগে।
প্রার্থীর ডকুমেন্টস যাচাইয়ের পাশাপাশি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ইমেইল বা কলের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করা হয়।
৫. সংখ্যার সীমাবদ্ধতা
ক্রোয়েশিয়ার সরকার প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করে। কোটা পূর্ণ হলে নতুন আবেদন প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।
৬. মধ্যস্থতাকারী বা এজেন্টের বিলম্ব
অনভিজ্ঞ বা অবিশ্বাস্য এজেন্টদের কারণে আবেদন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়।
অনেক সময় তারা ফাইল জমা দিতে দেরি করেন বা প্রয়োজনীয় কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করেন না।
৭. চাহিদা এবং আবেদনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি
সম্প্রতি ক্রোয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আবেদনকারীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রসেসিং সময় দীর্ঘায়িত করেছে।
একটি সফল এবং দ্রুত ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য এবং অভিজ্ঞ এজেন্ট বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন করা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা আপনার সময় ও খরচ কমাতে সাহায্য করবে।
২০২৫ সালের জন্য যারা আবেদন করবেন, তাদের জন্য শুভকামনা। সঠিক পরিকল্পনা এবং পেশাদার সহায়তা নিশ্চিত করুন।
Like this:
Like Loading...