একজন ব্যক্তির সামান্য পেনশনের অর্থ লগ্নি থেকে আজকের হাজার কোটি টাকার বহুজাতিক কোম্পানি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। ‘প্রাণ প্রোডাক্টস’ শব্দটা এতটাই পরিচিতি লাভ করেছে যে, নিত্য ব্যবহার্য জিনিসে ‘প্রাণ’ এখন অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পণ্যের গুণগত মান বজায় রেখে কোম্পানিটি বাংলাদেশের মত একটি দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বের বুকে সুনাম অর্জন করেছে, দেশের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দেশের শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে নিজেদের স্থান পোক্ত করেছে প্রাণ আরএফএল। প্রথমদিকে এটি ছিল মূলত একটি খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। মেজর জেনারেল হিসেবে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৮১ সালে আরএফএল কোম্পানির যাত্রা শুরু করেন।
তার মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ দরিদ্র কৃষকদের স্বার্থে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা। তাই তিনি প্রথম মানুষের কাছে পৌঁছে দেন বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত আরএফএল পাম্প। এরপর থেকে এক এক করে খাদ্য, প্লাস্টিক এবং নানা কৃষি পণ্য বাজারে নিয়ে আসেন।
বর্তমানে খাদ্যপণ্য, হাউসওয়্যার, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফার্নিচার, বাইসাইকেল, লিফট, টেক্সটাইল, টয়লেট্রিজ ও ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিংসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে প্রাণ-আরএফএল। দেশের ১৮টি স্থানে কোম্পানিটির কারখানা রয়েছে, যেখানে এর পণ্যসমূহ উৎপাদিত হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে। এক পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে প্রাণ ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।
Like this:
Like Loading...