শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

ক্রোয়েশিয়ার ভিসা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪
ইউরোপের সেনজেন দেশ ক্রোয়েশিয়ার সম্পূর্ণ ভিসা প্রসেস নিয়ে আলোচনা করব। যারা নতুন এপ্লাই করবেন বা করেছেন
১. আবেদন করতে পাসপোর্ট, অরিজিনাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স,ছবি লাগে। বাংলাদেশের বাইরে বসবাসরত থাকলে অই দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং ইকামা/আইডি কপি লাগবে।
২. অরিজিনাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিকটস্থ বাংলাদেশ এম্বাসি+ ক্রোয়েশিয়া এম্বাসি থেকে এটাস্টেশন করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে দিল্লিতে করতে হয়।
৩. পাসপোর্ট কপি, এটাস্টেশন করা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ছবি, অন্য দেশে থাকলে ইকামা/ইকামা/আইডির কপি, কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট থাকলে সব সহ কোম্পানিতে জমা করতে হয়।
৪. কোম্পানি কাজের ভেকেন্সি অনুযায়ী কনট্রাক্ট লেটার রেডি করবে এবং ওয়ার্ক পারমিটের জন্য HZZ ( Harvatski Zavod za Zaposlzavanje ) পোর্টালে অনলাইন করবে।
৫. ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু হতে ২-৬ মাস সময় লাগবে। শহর ভেদে কমবেশি হয়। অনেক সময় পারমিট রিজেক্ট হতে পারে।
৬. পারমিট, কন্ট্রাক্ট লেটার, একোমোডেশন ডকুমেন্টস, গ্যারান্টি লেটার এসব আনুষাঙ্গিক ডকুমেন্টস দিবে। যা আপনার এজেন্ট/এজেন্সি ভিএফএস বা এম্বাসির সাবমিশনের সময় আপনাকে দিবে।
৭. ওয়ার্ক পারমিটের ইস্যু তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এম্বাসিতে জমা দিতে হবে। সেই জন্য এম্বাসির এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
৮. এপয়েন্টমেন্ট নরমাল ও আর্জেন্ট সিস্টেম আছে। যে দেশের যে সিস্টেম আর কি। নরমাল এপয়েন্টমেন্ট ইন্ডিয়া বা নেপালের জন্য ১৫/২০ হাজার লাগতে পারে। ইমেইল/আর্জেন্ট এপয়েন্টমেন্ট নিতে মোটা দাগে টাকা লাগে। সুতরাং একান্ত সমস্যা না থাকলে নরমাল এপয়েন্টমেন্ট করুন।
৯. ভিএফএস/ এম্বাসিতে জমার পর কোম্পানিতে ইনকোয়ারি করবে এম্বাসি থেকে। সব কিছু ঠিক থাকলে এবং এম্বাসি যদি চায় তাহলে ভিসা ইস্যু করবে। মনে রাখবেন, সব ঠিক থাকার পরেও এম্বাসি রিজেক্ট করার ক্ষমতা রাখে। এটা সম্পুর্ন এম্বাসির হাতে।
১০. একেক দেশে ডেলিভারি একেক সময় লাগে। ইন্ডিয়া//নেপাল বর্তমানে ২ মাস লাগতেছে।
১১. ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ এসে BMET (Bureau of Manpower, Employment and Training) থেকে ক্লিয়ারেন্স কার্ড করতে হবে। যাকে আমরা ম্যানপাওয়ার বলি।
১২. ক্রোয়েশিয়ার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১ লক্ষ টাকা জামানত হিসেবে নিজের একাউন্টে দেখাতে হবে। যা ১ বছর পর তুলতে পারবেন।
১৩. যারা বাংলাদেশের বাইরে থেকে আসবেন তাদের নিয়ম ১০, ১১ লাগবেনা।
১৪. কোম্পানির সাথে আলোচনা করে এজেন্সি তারিখ অনুযায়ী টিকেট ইস্যু করে দিবে। আপনার মত ফ্লাই করবেন।
১৫. এয়ারপোর্টে রিসিভ করুক বা না করুক ইমিগ্রেশন কোন সমস্যা করবেনা।
১৬. কোম্পানির কাছে আসার পর ইমিগ্রেশনে/পুলিশ স্টেশনে আপনার ফিংগারের এপয়েন্টমেন্ট নিবে। সেই অনুযায়ী উপস্থিত থেকে ফিংগার দিবেন।
১৭. নরমালি ১৫-২০ দিন এবং আর্জেন্ট হলে ৩ দিনের মধ্যে ক্রোয়েশিয়ার TRC কার্ড হাতে পাবেন।
১৮. মনে রাখবেন, কার্ড পাওয়ার আগে কাজ করার অনুমতি নাই। তবে কোম্পানি যদি দায়িত্ব নেয় তাহলে সমস্যা নেই।
১৯. কোম্পানিতে কাজ না পেলে অন্য কোম্পানির কাজ করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে নতুন কোম্পানি ট্যাক্স, কনট্রাক্ট দিবে।
২০. প্রতিবছর কোম্পানি TRC রিনিউ করে দিবে।
টোটাল প্রসেস মিনিমাম ১ বছর সময় ধরে ফাইল জমা দিবেন। ২০২৫ এর কিছু পরিবর্তন নিয়ে আরও কিছু বিষয় সামনে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। যাতে প্রতিটি বিষয়ে জেনেবুঝে কাজ করতে আপনাদের সুবিধা হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com