বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন

চায়নার পথে প্রান্তরে

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
চায়নার পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছি আর জ্ঞান অর্জন করছি। মূলত চায়না বলতে সবাই যেখানে আসে এই সিটির নাম গুয়াংজু। এখানেই সারা বিশ্বের লোকজন আসে বিজনেস করতে।
আমি কয়েকটা ইলেক্ট্রনিকস মার্কেট, কয়েকটা পোশাকের মার্কেট ভিসিট করেছি। এই মার্কেটগুলোতে শুধু ফ্যাক্টরির শোরুম। এখানে খুচরা বিক্রি হয় না।
কেউ যদি চায়না আসতে চান, কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এখানে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি মনের সুখে যে কোন ভাষায় কথা বলতে পারবেন। ওরা কিচ্ছু বুঝবে না। এরা চায়নিজ ছাড়া দুনিয়ার কোন ভাষা এরা বুঝে না। এরা বাংলাদেশের নামও চাইনিজ ভাষায় বলে। মাংজালাগোও অর্থ বাংলাদেশ। বুঝেন অবস্থা।
গুগল ট্রান্সলেটর ইনস্টল করে আসবেন। চাইনিজ লিখা পড়ার জন্য গুগল ল্যান্স ইউজ করবেন।
এখানে ক্যাশ টাকায় লেনদেন করা কঠিন। আমি উইচ্যাটপে ইউজ করছি। ট্যাক্সি টোটালি এভয়েড করবেন। Didi এপ ইউজ করবেন উবারের মতো। তবে মেট্রো দিয়ে পুরো সিটি চষে বেড়ানো যায়। ভাড়া অনেক কম।
মেট্রোর লোকেশন বুঝার জন্য MetroMan এপটা অবশ্যই ইউজ করবেন। মোবাইল আর ইন্টারনেট ছাড়া এখানে অচল। পাসপোর্ট, ডলার আর মোবাইল এই তিনটার দিকে সর্বোচ্চ মনযোগী হতে হবে।
সিকিউরিটি নিয়ে টেনশন নেই। সারা রাত বাইরে থাকলেও কোন দুর্ঘটনা ঘটবে না। যদিও বেশিরভাগ সিটি রাত ৯টা হলেই ফাকা হয়ে যায়।
এখানে সেকেন্ডহ্যান্ড মোবাইল ল্যাপটপ মার্কেট আছে। তবে দাম বাংলাদেশের মতোই। এক দুইটা কিনে লাভ নেই।
এখানে কয়েকটা বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্ট আছে। রাধুনিতে খেয়েছিলাম। দাম গলাকাটা, টেস্টও বাংলাদেশের মতো না। এক বেলার প্যাকেজ প্রায় ৮০০ টাকা। তারচেয়ে গুগলে হালাল রেস্টুরেন্ট লিখে সার্চ দিবেন। বিভিন্ন মুসলিম দেশের রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন। খাবার যেমন টেস্টি তেমনি দাম কম।
আমি আজকে উইঘুর মুসলিম হোটেলে দুই বেলা খেলাম। অসাধারন। গতকাল খেয়েছিলাম অন্যদেশের মুসলিম রেস্টুরেন্টে।
বিকেলে গিয়েছিলাম চায়নার বুর্জ খলিফা (ক্যান্টন টাওয়ার) দেখতে। ওই এলাকাটা অস্থির। কয়েকটা বিল্ডিং এতো উচু যে মেঘে বিল্ডিংয়ের মাথা ঢেকে যাচ্ছিল।
চায়নার পথে প্রান্তরে ফুলের গাছ প্রচুর। পুরো শহর পরিচ্ছন্ন। সারা দিনে হর্ন শুনিনি।
আজকে চায়নায় আমার শেষ দিন। দেশে ফিরে অন্তত আমাকে দিয়ে আমার দেশ যেন নোংড়া না হয় সেই চেষ্টা করব। একান্ত দরকার না হলে হর্ন দেব না। যদিও হর্নি রিক্সাওয়ালাদের জন্য হর্ন না দিয়ে পারা যায় না। পেছন থেকে গাড়িতে বারি মেরে বলে, ওই মামা হরেন দেন না ক্যারে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com