কোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
মিস্ট্রি প্লেস, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সান্তা ক্রুজ শহরে আছে মিস্ট্রি প্লেস অর্থাৎ রহস্যময় জায়গা। সেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না। জায়গাটিতে কোনো বল ছুড়ে দিলে সেটি মাটিতে না পড়ে ওপরের দিকে উঠে যায়। কিংবা পানি নিচের দিকে না গিয়ে অন্যদিকে ছড়িয়ে যায়। জায়গাটি ১৯৩৯ সালে জর্জ ব্রেজার নামে এক ব্যক্তি আবিষ্কার করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৪০ সালে এটি সংরক্ষণ করে পর্যটন স্থান হিসেবে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্রতিবছর লক্ষাধিক পর্যটক জায়গাটি ভ্রমণ করেন।
মাউন্ট আরগ্যাটস, আর্মেনিয়া
তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার সীমান্তে অবস্থিত মাউন্ট আরগ্যাটস। এই জায়গায় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে কাজ হয়। সেখানে ঢালু রাস্তায় পানির বোতল রেখে দিলে সেটি নিচে না গিয়ে ওপরের দিকে গড়িয়ে উঠতে থাকবে। এমন রহস্যময় ঘটনার সাক্ষী হতে জায়গাটি পর্যটন স্থান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।
দ্য গোল্ডেন বোল্ডার, মিয়ানমার
মিয়ানমারের গোল্ডেন রক প্যাগোডা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার উঁচুতে কিয়াইকতিও পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। সেখানে সোনায় মোড়ানো একটি পাথর রয়েছে। দেখে মনে হতে পারে, সেটি ঝুলে আছে। প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে একই জায়গায় একইভাবে স্থির হয়ে রয়েছে সেই স্বর্ণপাথর। প্যাগোডাটি বৌদ্ধধর্মের আধ্যাত্মিকতার এক উজ্জ্বল জায়গা। আকারে ছোট হলেও এই প্যাগোডা মিয়ানমারের অন্যতম শ্রদ্ধার।
ছবি: সংগৃহীত
ম্যাগনেটিক হিল, ভারত
ভারতের এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিপরীত দিকে কাজ করে। এর মধ্যে অন্যতম লাদাখের লে জেলার ম্যাগনেটিক হিল। সেখানকার রাস্তায় একটি গাড়িতে বসে থাকলে সেটি পাহাড়ের চূড়ার দিকে যেতে শুরু করবে। আর তাই এটি লাদাখের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
ছবি: সংগৃহীত
রিভার্স ওয়াটারফল, আইসল্যান্ড
বিশাল জলরাশি ঝরঝরিয়ে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। জলপ্রপাতের এমন দৃশ্য দেখেই আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু পৃথিবীতে এমন জলপ্রপাত রয়েছে, যেখানে পানি ওপরের দিকে উঠে যায়। এমন অবাক ঘটনা দেখা যায় আইসল্যান্ডে। মূলত দুটি কারণে এমনটা হয়। প্রথমত, এই জায়গায় মাধ্যাকর্ষণ বল কম কাজ করে; দ্বিতীয়ত, বাতাসের তীব্রতা। যে কারণে কিছু পানি নিচের দিকে না গিয়ে ওপরে উঠে যায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য ট্রাভেল