ঘুম থেকে উঠে আধঘণ্টা ফোন না ধরা
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেরই অভ্যাস আছে ফোনটি হাতে নিয়ে নোটিফিকেশন দেখা এবং সোশ্যাল অ্যাপগুলোয় ঢুকে স্ক্রল করা। ঘুম থেকে উঠে অন্তত আধাঘণ্টা ফোন হাতে না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এ ৩০ মিনিট সময় দিনের অন্যান্য কাজ নিয়ে চিন্তা করা বা পরিকল্পনা করা যায়, যা ফোন থেকে মনোযোগ সরিয়ে রাখতে সহায়ক। এ ছাড়া ঘুমানোর সময় ফোনটি হাতের নাগালের বাইরে রাখা ও সকালে উঠেই কিছুক্ষণ চার্জে দিয়ে রাখাও এ ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।
টাইমার সেট করা
ডুমস্ক্রলিং এড়াতে টাইমার ব্যবহার করা একটি সহায়ক কৌশল। এটি একটি সতর্কতা হিসেবেও কাজ করে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে এ প্লাটফর্মে ব্যয় করা সময়ের পরিমাণ কমাতে পারেন। প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, লিমিট সেট করার ফলে ব্যবহারকারী চিন্তা করবেন তার কাছে কম সময় আছে, তাই তিনি নেতিবাচক কনটেন্ট এড়িয়ে শুধু গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থপূর্ণ বিষয়বস্তুতে ফোকাস করবেন।
অ্যাকাউন্ট ফলোর ক্ষেত্রে সতর্কতা
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়া যে অ্যাকাউন্টগুলো অনুসরণ করা হয়, সেগুলোয় মনোযোগ দিতে শুরু করে অনেকেই লক্ষ করবেন যে কিছু অ্যাকাউন্ট প্রায়ই নেতিবাচক কনটেন্ট পোস্ট করে। এগুলো অনেকের কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে। আর তাই ডুমস্ক্রলিং এড়াতে এসব অ্যাকাউন্ট আনফলো করার পরামর্শ দেন তারা। যারা এ পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন, তাদের মধ্য অনেকেই জানিয়েছেন যে এ পরিবর্তন তাদের ফিডের গুণমানকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে।
বিতর্কিত পোস্টের কমেন্ট সেকশন এড়িয়ে যাওয়া
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের কমেন্ট সেকশনের ঢুকে মন্তব্য করা ও অন্যের মন্তব্য পড়ার প্রতি আগ্রহ থাকে অনেকেরই। আবার পোস্টের কনটেন্ট না বুঝলেও কেউ কেউ একবার কমেন্ট সেকশনে ঢুঁ মারেন আবার অনেক সময় বিতর্ক ও দ্বন্দ্বেও জড়িয়ে পড়েন। তাই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিতর্কিত পোস্ট দেখার সময় মন্তব্য বিভাগ এড়িয়ে চলা ভালো। এ পদ্ধতি স্ক্রল করার অভ্যাস সম্পর্কে আরো সচেতন হতে ও আবেগগতাড়িত হয়ে কথোপকথনে হারিয়ে যাওয়ার অভ্যাস ত্যাগে সাহায্য করে।
স্মার্টফোন থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হওয়া
প্রয়োজন না থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফোন এয়ারপ্লেন মোডে রাখা কিংবা অন্যরুমে গেলে ইচ্ছাকৃত ফোনটি জায়গায় রেখে যাওয়ার মাধ্যমে স্মার্টফোনের ব্যবহার কিছুটা কমানো সম্ভব। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢোকা ও স্ক্রল করার প্রবণতাও কমে আসতে পারে। ডুমস্ক্রলিং মানসিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অনেকেই ঘুমের সমস্যা, উদ্বেগ বৃদ্ধি, স্ট্রেস বা নেতিবাচক সংবাদ দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার মতো অনুরূপ সমস্যার সম্মুখীন হন। তাদের ক্ষেত্রে ডুমস্ক্রলিংয়ের এ অভ্যাস থেকে বিরত থাকা ও পরিস্থিতি মোকাবেলা করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যসেবাসংশ্লিষ্টরা।
জুমবাংলা নিউজ