প্রায় ৪৫ হাজার কানাডিয়ান লেবাননে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে অটোয়া আটকেপড়াদের উদ্ধার করতে পারবে এই নিশ্চয়তা নেই বলে মন্তব্য করার কয়েক মাস পর এই তথ্য জানালেন তিনি। পেজার বিস্ফোরণের মাধ্যমে আক্রমণের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি কেবল খারাপের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
২১ সেপ্টেম্বর টরন্টোতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখনো যারা লেবাননে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের প্রতি আমার বার্তা হচ্ছে, যাবেন না। কয়েক মাস ধরেই আমি এটা বলে আসছি।
গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের ভয়াবহ হামলার পর ইসরায়েল গাজায় বোমা বর্ষণ শুরু করে এবং হেজবুল্লাহও উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাচ্ছে। এর ফলে সীমান্তের কাছাকাছি থাকা কমিউনিটিগুলোকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ইসরায়েল বেসামরিক ও হেজবুল্লাহর স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
মেলানি জোলি গত বছরের অক্টোবর থেকেই কানাডিয়ানদের লেবানন ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে নাগরিকদের কীভাবে উদ্ধার করা সম্ভব সশস্ত্র বাহিনী তা মূল্যায়ন করে দেখছে।
কত সংখ্যক লোককে উদ্ধার করার প্রয়োজন হতে পারে সরকারের পক্ষ থেকে কখনোই তা খোলাখুলিভাবে বলা হয়নি। স্বপ্রণোদিতভাবে যারা গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডায় নিজেদের নাম নিবন্ধন করেছেন কেবল তাদের সংখ্যাই উল্লেখ করা হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ সংখ্যাটি ছিল ২১ হাজার ৪০০। তবে আরও অনেকেই নিবন্ধিত নন বলে সতর্ক করেছে অটোয়া।
এই অবস্থায় জোলি সতর্ক করে বলেছিলন, পরিস্থিতি যদি আরও খারাপের দিকে যায় তাহলে মাঠের অবস্থা আমাদেরকে আপনাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াতে পারে। কত সংখ্যক মানুষ আটকা পড়তে পারে ২১ সেপ্টেম্বর তা সুনির্দিষ্ট করে বলেছেন তিনি।
জোলি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, লেবাননে প্রায় ৪৫ হাজার কানাডিয়ান অবস্থান করছেন। আমাদের বার্তা পরিষ্কার এবং কানাডিয়ানদের তা ভালোমতো অনুসরণ করতে হবে। এবং আমরা এটাও নিশ্চিত করে বলছি যে, আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলের দুর্দশার অবসান হওয়া প্রয়োজন। লেবাননে যা হচ্ছে সেজন্য আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এবং অতি অবশ্যই পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যা ঘটছে তা নিয়েও আমরা ভাবিত।