জীবন যখন ইউরোপ দেখার সুযোগ দিচ্ছে, তখন সেরা জায়গাগুলোতেই ঘুরে দেখা দরকার
পরিস্থিতি সবসময় সঙ্গ দেয় না। কখনও কাজের চাপ, কখনও পকেটে টান! তবে, একবার হলেও ইউরোপের শহর ঘুরে দেখার ইচ্ছে থাকে অনেকেরই। সেই ইচ্ছে যখন পূরণ হয়, খুশির বাঁধ ভেঙে যায়।
তবে, এক জীবনে গোটা ইউরোপ ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। জীবন যখন ইউরোপ দেখার সুযোগ দিচ্ছে, সেরা জায়গাগুলো ঘুরে দেখা দরকার। এমন ৬টি জায়গা রয়েছে, যা ইউরোপ বেড়াতে গেলে এক্কেবারেই মিস করা উচিত নয়।
কুয়েনকা, স্পেন:
স্পেনের ছোট্ট শহর কুয়েনকা। জুকার ও হুয়েকার নদীর সঙ্গমে পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই শহর মধ্যযুগের ইতিহাসের গল্প বলে। এখানকার ঝুলন্ত বাড়ি, সরু গলিই কুয়েনকার সৌন্দর্য। ১৯৯৬ সালে এই শহরকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
পিরান, স্লোভেনিয়া:
ইউরোপের বেশিরভাগ জায়গায় পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে ইউরোপকে চিনতে চাইলে চলে যান স্লোভেনিয়ার পিরান শহরে। টার্টিনি স্কোয়্যার, ডুওমো ডি সান জর্জিও ক্যাথেড্রাল ঘুরে দেখতে পারেন সেখানে।
অ্যাভেরো, পর্তুগাল:
পর্তুগালের ভেনিস বলা হয় অ্যাভেরোকে। নদীর তীরে অবস্থিত রঙিন শহর অ্যাভেরো। এখানকার পর্তুগিজ স্থাপত্য, খাবার সবই মন কেড়ে নেবে আপনার। লিজবন বা পোর্তু যেতে না পারার দুঃখ নিমেষে ভুলিয়ে দেবে অ্যাভেরো।
ট্রোগির, ক্রোয়েশিয়া:
ট্রোগিরও একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। ইউরোপের একটি ‘হিডেন জেম’ বললেও ভুল হবে না। এখানে চেখে দেখতে পারেন স্থানীয় সি ফুড। জেট স্কি সাফারির মজাও নিতে পারেন।
কোটর, মন্টিনিগ্রো:
এক ধারে পাহাড়, আর এক ধারে সমুদ্র, মাঝে কোটর। মধ্যযুগের ইতিহাসে ভরা এই শহর। হাইকিং ভালোবাসলে ঘুরে দেখতে পারেন সেন্ট জনস ফোর্ট। এই দুর্গের উপর থেকে দেখা যায় কোটর সাগরের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য।
সিবিউ, রোমানিয়া:
ট্রান্সিলভেনিয়ার মধ্যিখানে অবস্থিত সিবিউ। এই শহর যেন আস্ত মিউজিয়াম। রোমানিয়ার ইতিহাস জানতে হলে যেতেই হবে সিবিউতে। ইতিহাস, স্থাপত্য, সৌন্দর্য, সংস্কৃতি সবকিছু মিলেমিশে একাকার সিবিউতে। ইউরোপ গেলে অবশ্যই বাকেট লিস্টে রাখুন রোমানিয়ার এই শহরকে।