এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম ‘মাওলিনং গ্রাম’। গ্রামটি শিলং থেকে প্রায় ৯০ কিমি দূরে অবস্থিত। নৈসর্গিক দৃশ্য থেকে শুরু করে ঐতিহ্যগত স্থানীয় সংস্কৃতির সব কিছুই এই গ্রামে পাবেন। এই গ্রামে আপনি মনোরম সময় উপভোগ করতে পারবেন। গ্রামটি প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষেধ। আপনি যদি গ্রামীণ মেঘালয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান এবং খাসি উপজাতির জীবনধারার সাক্ষী হতে চান তাহলে ‘মাওলিনং গ্রাম হবে আপনার জন্য দুর্দান্ত গন্তব্য।
মাওলিনং এশিয়ার অন্যতম পরিচ্ছন্ন গ্রাম। গ্রামবাসীরা তাদের গ্রামকে রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। তারা সর্বদা তাদের গ্রামকে পরিষ্কার রাখতে পছন্দ করেন। এই গ্রামে নেই কোনো আবর্জনা। এখানকার স্থানীয়রা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে খুব সচেতন থাকেন। এই গ্রামের প্রতিটি মোড়ে আবর্জনার বিন রয়েছে। যেখানে পর্যটক এবং স্থানীয়রা তাদের আবর্জনা ফেলে থাকে।
মাওলিনং-এ রিওয়াই নামে একটি জায়গা আছে। এটি গ্রাম থেকে আনুমানিক ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে গাছের শিকড়ের একটি জীবন্ত ব্রিজ রয়েছে। এটি প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন মানবসৃষ্ট সেতু। ব্রিজটি একটি বেটেল গাছের কাণ্ডের চারপাশে রাবার গাছের শিকড়গুলিকে সংযুক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে। এর শিকড়গুলি সময়ের সাথে সাথে বেড়েই চলছে। সেতুটি এক প্রাকৃতিক বিস্ময়। অনেক পর্যটক এই জীবন্ত সেতুটি দেখতে দূর থেকে আসেন।
মাওলিনং গ্রামটি সবুজ বন দ্বারা আবৃত। এটি ঘূর্ণায়মান পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত। গ্রামটি জলপ্রপাত, স্রোত এবং বন সহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্বারা বেষ্টিত। যা প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা হয়ে ওঠেছে।
বাঁশের তৈরি ব্রিজ মেঘালয়ের গ্রামীণ ল্যান্ডস্কেপের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। বিশেষ করে খাসি এবং জয়ন্তিয়া পাহাড়ে এর ব্রিজের দেখা মিলে। এখানকার স্থানীয়রা সেতু নির্মাণে বাঁশ ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো বেশ সমজবুত ও টেকসই হয়। যা পরিবেশবান্ধবও বটে।
মাওলিনং-এর নিকটতম গির্জা হল এপিফ্যানি চার্চ। গির্জাটি ১৯০২ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি রিওয়াইয়ের নিকটবর্তী গ্রামে অবস্থিত। এই গির্জাটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। গীর্জাটি সুন্দর স্থাপত্য এবং নৈসর্গিক অবস্থানের জন্য পরিচিত।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া