অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করেছে মালয়েশিয়া সরকার।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের বরাতে সরকারি সংবাদ সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মান অনুসারে জাতীয়তার ভিত্তিতে বৈষম্য ছাড়াই সব কর্মীকে ন্যায্য অধিকার প্রদানে মালয়েশিয়া সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত শুত্রুবার (১৮ অক্টোবর) দেশটির সংসদ দেওয়ান রাকয়াতে ২০২৫ সালের বাজেট পেশ করার সময় এই প্রস্তাব ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
অবসরকালীন সঞ্চয় উৎসাহিত করতে এবং অনানুষ্ঠানিক কর্মী ও অনিয়মিত আয়ের ব্যক্তিদের জন্য এমন ঘোষণা আসলো। এক্ষেত্রে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) আওতায় রিটায়ারমেন্ট সেভিংস আই-সারাণ ম্যাচিং প্রণোদনা ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। যা বার্ষিক সীমা হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০০ রিঙ্গিত থেকে সারাজীবনে সর্বোচ্চ ৫ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, ‘আই-সুরি’ প্রোগ্রামটি অর্থাৎ, গৃহিণী, বিধবা, সিঙ্গেল মাদার সহ জাতীয় দারিদ্র্য ডেটা ব্যাঙ্ক ইকাছিহতে নিবন্ধিত নারীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী এ সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামটি সরকারি এবং সক্রিয় অংশগ্রহণকারীদের ম্যাচিং প্রণোদনার মাধ্যমে চলবে।
তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষা এজেন্ডা আরও জোরদার করা হবে, যাতে বেশি সংখ্যক মানুষের অবসরকালীন সঞ্চয় এবং দুর্যোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। আত্মকর্মসংস্থান সামাজিক সুরক্ষা স্কিমের জন্য ১০০ মিলিয়ন রিঙ্গিত বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা পুরো ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমাদের শ্রমিক দরকার, তাদের আধুনিক দাস হিসেবে গণ্য করা যাবে না। তারা বাংলাদেশ বা অন্য যেখান থেকেই আসুক না কেন, আমি এখানকার মতো আগেও প্রকাশ্যে এ কথা বলেছি।