1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
‘অপরচুনিটি কার্ড’ নিয়ে জার্মানিতে ২,৫০০ অভিবাসী
রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ফ্লাইট বদলের অপেক্ষাকে উপভোগ্য করে তুলুন চ্যাটজিপিটির পরামর্শে ফ্রান্সে স্থায়ী বসবাস মার্কিন নারীর দিচ্ছে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ, আবেদন করবেন যেভাবে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত কোনরকম পোশাক পরেন না এই গ্রামের বাসিন্দারা বস্টনে ভ্রাম্যমাণ পাসপোর্ট সেবাকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক ও ক্ষোভ এবারও যুক্তরাষ্ট্রের ডিভি লটারির সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকছে বাংলাদেশ এক প্রশ্নেই ভিসা বাতিল শিক্ষার্থীর, এফ-১ ভিসা নিয়ে নতুন বিতর্ক ফিনল্যান্ড – যেখানে পড়াশোনা মানে শুধু ডিগ্রি নয়, এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

‘অপরচুনিটি কার্ড’ নিয়ে জার্মানিতে ২,৫০০ অভিবাসী

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

জার্মানির জোট সরকারের নতুন উদ্যোগ ‘অপরচুনিটি কার্ড’ এর সুযোগ নিয়ে এ বছরের জুন থেকে অন্তত আড়াই হাজার অভিবাসী দেশটিতে এসেছেন৷ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সরকারি এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করতে নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে জার্মান সরকার৷ চান্সেনকার্টে বা অপরচুনিটি কার্ড নামের এই প্রকল্পের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকেরা পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে জার্মানিতে আসার সুযোগ পাবেন৷

১ জুন থেকে কার্যকর হওয়া এই প্রকল্প দক্ষ বিদেশি কর্মীদের চাকরির কোনো চুক্তিপত্র ছাড়াই জার্মানিতে আসার সুযোগ করে দেবে৷ জার্মানিতে এসে এক বছর থাকার অনুমতি পাবেন তারা৷ এই সময়টিতে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি খোঁজার সুযোগ পাবেন তারা৷

মূলত জার্মান শ্রমবাজারে ক্রমবর্ধমান কর্মী সংকট মোকাবিলায় নতুন এই উদ্যোগটি নিয়েছে সরকার৷ আশা করা হচ্ছে, এর ফলে বিদেশিদের জার্মান শ্রমবাজারে ঢোকা সহজ হবে৷

এ বছরের জুনে কার্যকর হওয়ার পর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতি মাসে অন্তত ৫৫০টি সফল আবেদন নথিভুক্ত করেছে৷

নতুন এই প্রকল্পের অধীনে ভারতের নাগরিকেরা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভিসা পেয়েছেন৷ দেশটির ৭৮০ জন নাগরিক এই ভিসা নিয়ে জার্মানি এসেছেন৷ এরপরেই রয়েছে চীন, তুরস্ক এবং পাকিস্তানের নাম৷ এই প্রকল্পটি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি এবং ইংরেজি বা জার্মান ভাষার দক্ষতাসহ দক্ষ অভিবাসীদের কোনো চাকরির সুযোগ ছাড়াই জার্মানি আসার সুযোগ করে দেয়৷

অপরচুনিটি বা চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্যতা

শিক্ষাগত, পেশাগত এবং ভাষার দক্ষতাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একজন আবেদনকারীকে চান্সেনকার্টে দেবে জার্মান সরকার৷ এজন্য একটি পয়েন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে৷ চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে আবেদনকারীকে অন্তত ছয় পয়েন্ট অর্জন করতে হবে৷

চান্সেনকার্টে পাওয়ার ক্ষেত্রে দুই ধরনের যোগ্যতার কথা বলছে জার্মান সরকার৷ একটি হলো: আবেদনকারীর জার্মানিতে স্বীকৃত শিক্ষাগত বা পেশাগত যোগ্যতার বিদেশি সনদ থাকতে হবে৷ অথবা আবেদনকারী যদি জার্মানির কোনো বিশ্বিদ্যালয়ের ডিগ্রি বা পেশাগত যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন তাহলেও তিনি চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷ এমন সনদ থাকলে আবেনকারীকে সরাসরি আবেদন করার কথা বলা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে আবেদনকারী জার্মানিতে চাকরি খুঁজে নেওযার জন্য ১৮ মাস সময় পাবেন৷

দ্বিতীয়টি হলো, আবেদনকারীর নিজ দেশে স্বীকৃত ভোকেশনাল বা একাডেমিক ডিগ্রি থাকতে হবে৷ সেই সঙ্গে ভোকেশনাল ডিগ্রিধারীদের দুই বছরের কাজের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে৷

ভাষাগত যোগ্যতার শর্ত হিসেবে বলা হচ্ছে, আবেদনকারীকে অবশ্যই জার্মান ভাষার এ১ লেভেল অথবা ইংরেজি ভাষার বি২ লেভেলের দক্ষতা থাকতে হবে৷

যেভাবে গণনা হবে পয়েন্ট

সরকারের নতুন এই প্রকল্পের বিধি অনুযাযী, শুধু দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের বেলায় পয়েন্ট সিস্টেম গণনার প্রযোজন হবে৷

শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারীর যোগ্যতা যদি আংশিকভাবে জার্মান স্ট্যান্ডার্ডের সমতুল্য হয় তাহলে তাকে চার পয়েন্ট দেয়া হবে৷ আবেদনকারীর যোগ্যতা যদি জার্মানিতে কর্মী সংকট রয়েছে এমন পেশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়, তাহলে আবেদনকারীকে ২ পয়েন্ট দেয়া হবে৷

পেশাগত যোগ্যতা: শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে মিল রেখে পেশাগত যোগ্যতার জন্যও পয়েন্ট পাবেন আবেদনকারীরা৷ সেক্ষেত্রে সর্বশেষ পাঁচ বছরের মধ্যে দুই বছরের পেশাগত যোগ্যতার জন্য দুই পয়েন্ট এবং সর্বশেষ সাত বছরের মধ্যে পাঁচ বছরের পেশাগত যোগ্যতার জন্য তিন পয়েন্ট দেয়া হবে৷

ভাষা: জার্মান ভাষায় এ২ লেভেলের দক্ষতার জন্য থাকছে এক পয়েন্ট, বি১ লেভেলের দক্ষতার জন্য দুই পয়েন্ট এবং বি২ লেভেলের দক্ষতার জন্য থাকছে তিন পয়েন্ট৷ তাছাড়া সি১ লেভেলের ইংরেজি ভাষার দক্ষতার জন্য বা ইংরেজি যাদের মাতৃভাষা তাদেরকে একটি অতিরিক্ত পয়েন্ট দেয়া হবে৷

বয়স: যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি নয়, তারা পাবেন দুই পয়েন্ট৷ আর ৩৫ থেকে ৪০ বছরের আবেদনকারীদের জন্য রয়েছে এক পয়েন্ট৷

জার্মানিতে থাকার অভিজ্ঞতা: সর্বশেষ পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে যদি আবেদনকারী টানা ছয় মাস জার্মানিতে বৈধভাবে অবস্থান করে থাকেন, তাহলে এর জন্য তাকে এক পয়েন্ট দেয়া হবে৷ তবে পর্যটক হিসাবে জার্মানিতে অবস্থান করে থাকলে তা গণনা করা হবে না৷ জার্মানিতে অবস্থানের প্রমাণপত্র হিসেবে আবেদনের সময় পাসপোর্ট এবং ভিসার কপি জমা দিতে হবে৷

সবশেষে, আবেদনকারীর সঙ্গীর (স্ত্রী বা জীবনসঙ্গী) কথা বলা হয়েছে৷ আবেদনকারীর সঙ্গী যদি উপরোক্ত যোগ্যতা পূরণ করে থাকেন তাহলে এর জন্য এক পয়েন্ট দেয়া হবে৷

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com