নতুন উঁচু ভবনের খেতাব জিতলো সিঙ্গাপুরের প্যান প্যাসিফিক অর্চার্ড। কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিট্যাট (সিটিবিইউএইচ) মনোনীত এ টাওয়ারের উচ্চতা ৪৬১ ফুট, ডিজাইনে রয়েছে বায়োফিলিক ছোঁয়া।
প্রকৃতি-প্রাণিত নকশার জন্য বিখ্যাত সিঙ্গাপুরের স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ওয়াহা রয়েছে এ পরিকল্পনায়। এ ভবনে চারটি আলাদা টেরেস বা ছাদ রয়েছে, যা সিঙ্গাপুরের ক্রান্তীয় পরিবেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এ সবুজ স্থানগুলো শুধু ভবনের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং স্থানীয় আর্দ্র আবহাওয়ায় সূর্যের তাপ ও বায়ু চলাচল এবং বৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উন্মুক্ত স্থান হিসেবে কাজ করে।
ভবনটির নকশা প্রচলিত ‘পডিয়াম অ্যান্ড টাওয়ার’ ফরম্যাটের হোটেল থেকে ভিন্ন। যেখানে প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি অন্তর্নিহিত অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। এর শুরুটা হয় ভূমি-স্তরের ‘ফরেস্ট টেরেস’ থেকে, এটি আবার জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। দালানের ওপরের দিকে আছে ‘বিচ টেরেস’, যার অন্যতম আকর্ষণ লেগুনসদৃশ পুল। এছাড়া রয়েছে ‘গার্ডেন টেরেস’। এটি মূলত রাখা হয়েছে ছড়ানো-ছিটানো নানা প্রজাতির বৃক্ষের মাঝে অতিথিদের হাঁটার জন্য।
প্যান প্যাসিফিক অর্চার্ডের চতুর্থ টেরেসটির নাম ‘ক্লাউড টেরেস’। এটি মূলত একটি সবুজ ইভেন্ট স্পেস। তবে সবুজায়নের এ উদ্ভাবন কেবল নান্দনিক উদ্দেশ্যে তৈরি হয়নি, এর পেছনে রয়েছে দেশটির পরিবেশ আইন। সিঙ্গাপুরের কঠোর নির্মাণ বিধিমালার কারণে ডেভেলপাররা স্থাপনার নকশায় সবুজ স্থান সংযোজন করতে রীতিমতো বাধ্য থাকেন। ওয়াহার প্যান প্যাসিফিক অর্চার্ড প্রচলিত মানদণ্ডের চেয়ে তিন গুণ বেশি সবুজায়নে ঘেরা।