ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর রাইটার্স বিল্ডিং তো সবাই দেখেন। কিন্তু কলকাতার যে কিছু বিশেষ ঐতিহ্যবাহী ভ্রমণস্থল আছে তা জানেন কি? প্রথমেই কুমোরটুলির কথা ধরা যাক। গঙ্গামাটি দিয়ে ঠাকুরের মূর্তি গড়ার প্রাচীন ঐতিহ্য আজও অটুট আছে এখানে। বিশেষ করে দুর্গা এবং কালিপুজোর আগে কুমোরটুলি একবার ঘুরে না দেখলে ভ্রমণপ্রেমীদের বাকেট লিস্ট অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। মূর্তি বানাতে বানাতেই আপনার সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেবেন কুমোরপাড়ার কারিগড়রা। সে এক অনন্য অনুভূতি।
চিনাম্যান চ্যাংচুং
এশিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন ট্রামলাইন রয়েছে কলকাতাতেই। একটা সময় এই ট্রামের রমরমা বাজার ছিল। গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে তাতে ঘাটতি পড়েছে। তবে সখ করে ট্রামে চড়ার লোকের সংখ্যাও মন্দ নয়। সামান্য ভাড়ায় কলকাতা ঘুরতে গেলে ট্রামের বিকল্প নেই। ট্রামের জানালা দিয়ে তিলোত্তমার রোজনামচা দেখাটাও একটা অ্যাডভেঞ্চার।
ঘুরতে ঘুরতে গলা শুকিয়ে গেলে তা ভেজানোর ব্যবস্থা রয়েছে। চা-খোর বাঙালির শহরে হাসপাতাল, স্কুলের চেয়েও চায়ের দোকান বেশি। তবে ভালো মশলাদার সুগন্ধি চা খেতে গেলে ঘুরে আসতে পারেন উত্তর থেকে। উত্তরবঙ্গ নয়, উত্তর কলকাতা। চায়ের সঙ্গে টা হিসেবে পাবেন সেখানকার নামকরা তেলেভাজাও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে চা আর ভাজাভুজি চলতে থাকে। সঙ্গে আড্ডা ফ্রি। ছবি সৌজন্য- TOI
উত্তর কলকাতায় ঢুঁ যখন দেবেনই তখন শহরের বইপাড়াটা দেখতে ভুলবেন না যেন। বাসস্টপের নাম কলেজস্ট্রিট। আর সেখানে গেলে বিশ্বের যে কোনও প্রকাশনার বই পেয়ে যাবেন তুলনামূলক কমদামে। শুধু বই, লেখক আর প্রকাশনা সংস্থার নামটা বলে দিতে হবে। পুরনো নানা দুর্লভ বইয়ের সন্ধানও মিলবে এখানে।
কলকাতার অন্যতম উল্লেখযোগ্য জায়গার নাম শুনলে অবাক হতে পারেন। আর ভক্তদের মুখে ফুটতে পারে চওড়া হাসি। শহরের কুষ্টিয়া রোডে রয়েছে একটি মন্দির। মন্দিরের আরাধ্য দেবতা বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। নিত্যদিন তাঁর মূর্তি পুজো করেন ভক্তরা। গুরুপূর্ণিমার দিন সেখানে চলে মহা উৎসব।