প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই অনেকটা তড়িঘড়ি করে গত বছরের ৭ অক্টোবর বেশ ঘটা করেই সফট ওপেনিং করা হয় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। কথা ছিল, এক বছর পর চলতি মাস থেকে শুরু হবে যাত্রীসেবা। কিন্তু পুরোটাই যেন এখন ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন।
অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পে এ ওপেনিং অনুষ্ঠানের ব্যয় ধরা না থাকলেও শুধু রাজনৈতিক বিলাসিতায় মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হয়েছে বেবিচককে। সে সময় ১০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে জানিয়ে এক বছরে তা শেষ করার কথা বলেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে সবই যেন অসারের তর্জন-গর্জন।
বেবিচক সূত্র বলছে, বছর পার হলেও চূড়ান্ত হয়নি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিদেশি পার্টনার; বাকি মেশিন টু মেশিন সংযোগের কাজও।
টার্মিনালের ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার অবকাঠামো দৃশ্যমান হলেও সেবা কবে নাগাদ শুরু হবে — তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও কিছু বলতে পারছেন না।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন,
উদ্বোধনের পর অনেক দিন পার হয়ে গেছে। এখনও কিন্তু বুঝতে পারছি না, কবে নাগাদ সেবা শুরু হতে পারে। এটির সঙ্গে আমাদের অনেক কিছুই জড়িত আছে। তাই সেই জায়গাটাতে হাত দেয়া দরকার।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি দ্রুত চালু হলে শুধু সরকারের লাভ নয়, নতুন গতি পাবে এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পও।
বিষয়ে ট্যুর হাব ট্র্যাভেলসের সিইও সুলতান মাহমুদ বলেন,
ফ্লাইট বেশি কভার করতে পারলে আরও অনেক এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে আসবে। এতে পর্যটনশিল্পে যেমন ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, তেমনি হোটেল ব্যবসায়ও লাভ হবে।
এদিকে, দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ করে টার্মিনাল চালুর দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরাও। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের নকশায় নির্মিত এ টার্মিনাল শুধু যাত্রী পারাপারের জন্য নয়, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রাজস্ব আয়ে গতি বাড়ানো ছাড়াও এটি এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।