পুঁজিবাজারে কারসাজি ও আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউ থেকে সাকিব আল হাসান ছাড়াও তার স্ত্রী উম্মে রোমান আহমেদ, আবুল খায়ের হিরুর বাবা আবুল কালাম মাদবর, হিরুর ভাই মোহাম্মদ বাশার, বোন কনিকা আফরোজ ও ব্যবসায়ী মো. নাজমুল বাশার খানের ব্যক্তিগত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয় বিএফআইইউ।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ২৪ সেপ্টেম্বর সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল খায়ের হিরুকে জরিমানা করা হয় ২৫ লাখ টাকা। শেয়ার কারসাজির অভিযোগে হিরুর ব্যাংক হিসাব গত ২০ আগস্ট থেকে জব্দ রয়েছে।
প্যারামাউন্টের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করায় সাকিব আল হাসান ছাড়াও ইসহাল কমিউনিকেশনকে ৭৫ লাখ টাকা, আবুল খায়েরকে ২৫ লাখ টাকা, আবুল কালাম মাতবরকে ১০ লাখ টাকা, মোনার্ক মার্টকে ১ লাখ টাকা, লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজকে ১ লাখ টাকা এবং জাহেদ কামালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সাকিব আল হাসান পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির শুভেচ্ছা দূতও হয়েছিলেন। একটি ব্রোকারেজ হাউজের অনুমোদনও পেয়েছেন।
তবে সাকিবের ব্যবসায় হাতেখড়ি রেস্টুরেন্টের মাধ্যমে। এরপর ধীরে ধীরে পুঁজিবাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেন। সবশেষ যুক্ত হন ফুটওয়্যার ও ই-কমার্স ব্যবসায়। মোনার্ক মার্ট সাকিব আল হাসানের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে সাকিব আল হাসান ক্রিকেট খেলতে ভারতে অবস্থান করছেন।