মালদ্বীপের পত্রিকাযগুলোর মতে, বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে এক লাখের মতো বাংলাদেশি আছেন মালদ্বীপে। এর মধ্যে ৪০ হাজারই অবৈধ বাসিন্দা। অবৈধদের আগে ধরপাকড় না করলেও এখন পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালিয়ে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে সবাইকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে মালদ্বীপের ইমিগ্রেশন পুলিশ।
অবৈধদের মধ্যে বেশির ভাগ বাংলাদেশি মালদিভিয়ানদের সাথে যৌথভাবে ব্যবসা করতে গিয়ে ক্রাইমে জড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে হত্যা, ছিনতাই, মাদক, মানবপাচার ও হুন্ডিসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে দেশটির কারাগারে তিন হাজারের মতো বাংলাদেশি আটক আছে।
মালদ্বীপ প্রবাসীরা বলেন, অন্যান্য দেশের অবৈধ প্রবাসীদের ধরে আবার ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশের নাগরিকদের বেলায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। অবৈধ বসবাসকারীদের ধরতে এসে আমাদের মতো অসহায় কর্মচারীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। মাত্র কিছুদিন আগে অনেকে ২ লাখ টাকা খরচ করে ভিসা ঠিক করেছেন। ভিসা ঠিক রাখার জন্য প্রতিবছর গুনতে হয় প্রচুর টাকা। অথচ টাকা দিয়েও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের নিজাম উদ্দিন দালালের মাধ্যমে লাখ টাকা খরচ করে এসেছিলেন মালদ্বীপে। ওই সময় তার বেতন ছিল ১০০ ইউএস ডলার। চাকরি শুরুর পর কেটে গেছে ২৩ বছর। এখন তার বেতন হয়েছে সাড়ে ৩০০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩২ হাজার টাকা। সময়ের ব্যবধানে নিজাম উদ্দিনের বেতন খুব একটা বাড়েনি। তারপরও বেতন ঠিকভাবে কোম্পানির মালিক পরিশোধ করছেন না বলে অভিযোগ তার।
সমস্যার সমাধানের জন্য কর্মীরা বাংলাদেশ দূতাবাসে এসেও কর্মকর্তাদের কাছে সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিযোগ।