নিশ্চিত করে বলতে না পারলেও দুবাইয়ের একটি পার্কে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে দেখা গেছে বলে দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি। তাদের দাবি দুবাইয়ে অবৈধ পথে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন হাছান মাহমুদ।
হাসিনা সরকার পতনের পর যারা বিভিন্ন পন্থায় দেশত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে তাদের মধ্যে হাছান মাহমুদ একজন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হাছান মাহমুদ যে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন তার প্রধান অংশীদার সাবেক রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
দুবাইয়ে শুধু সম্পদই নয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বিরাট অংকের টাকা বিনিয়োগও করেছেন এই দুই আওয়ামী লীগ নেতা- এমনটাই জানিয়েছেন সেখানকার প্রবাসীরা।
দুবাই, শারজাহ্ ও আজমান শহরে এই দুই নেতার বিনিয়োগের পরিমাণ ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৩টি শহরে হাছান মাহমুদ এবং ফজলে করিম চৌধুরীর একাধিক বাড়ি এবং ফ্ল্যাট রয়েছে। এমনকি সেখানকার আবাসন ব্যবসাতেও এই দুই নেতার মালিকানা রয়েছে বলে দাবি করেন প্রবাসীরা।
দুবাইয়ের মতো বিলাসবহুল শহরে কিভাবে এই সম্পদের মালিক হলেন তারা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে দুবাইয়ে বসবাসরত প্রবাসীরা।
জানা যায় হাছান মাহমুদ ও এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন আমিরাতের কিছু প্রবাসী ব্যবসায়ীর মাধ্যমে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, আমিরাতের আজমানে আবাসন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন হাছান মাহমুদ ও ফজলে করিম। আজমান ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় একাডেমি এলাকায় জে আর প্রপার্টি নামে ইতোমধ্যে ২৬টি ভবন তৈরি করেছে ইউনূস সেন্টার নামের একটি কোম্পানি। এই কোম্পানির নতুন নামকরণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম রিয়েল এস্টেট। ওই এলাকায় এই কোম্পানির নামে প্রায় প্রায় সাড়ে তিনশো একর জমিও কেনা হয়েছে বলে দাবি করেন প্রবাসীরা। আর তাদের এই বিশাল ব্যবসা দেখভাল করেন হাছান মাহমুদের ব্যবসায়িক পার্টনার ও চট্টগ্রাম রিয়েল এস্টেটের মালিক সিএনজি জসিম নামের এক প্রবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হাছান মাহমুদ এবং ফজলে করিম চৌধুরী আজমান ছাড়াও দুবাই, শারজাহ্, ফুজিরাহ্ ও আল আইনে বসবাসরত বিত্তবান অসংখ্য প্রবাসী ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়া নামে বেনামে আরও অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন এই দুই নেতা। দুবাই প্রবাসীরা আরও জানান, শুধু আমিরাতে নয় ওমান, কাতার ও সৌদি আরবেও পাচারও করা টাকায় গড়ে তুলেছেন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান।