ভারতের দার্জিলিং গেলে অবশ্যই একবার কালিম্পং ঘুরে আসবেন। নাহলে পরে আফসোস করতে হবে। দার্জিলিং থেকে সুমোতে কালিম্পং যাওয়া যায় আকাবাকা পাহাড়ি পথ বেয়ে শুধু শুধু নিচের দিকে নামতে হয়। ঘন্টা দুয়েক যাওয়ার পর চোখে পড়বে পহাড়ের উপর থেকে ঝরনার পানি নেমে আসছে। কোথা থেকে যে এতো পানি আসে তা কেউ বলতে পারে না। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। সামনেই তিস্তা নদী, একপাশে পাহাড় আর একপাশে তিস্তা নদী বয়ে চলেছে। তিস্তা পেরিয়ে এবার উপর উঠতে হবে। স্বর্গরাজ্যের কালিম্পং শহরটা বেশ ছিমছম। পাহাড়ি জীবন যাপন যেন পাহাড়ের মতোই শান্ত।
পাহাড়ের ঢাল বেয়ে এক ঝাক শিশু কোট টাই পরে স্কুলে যাচ্ছে। রাস্তার পাশে মোমোর দোকানে আড্ডা। নেই কোন কোলাহল। শহরকে পাশ কাটিয়ে পাহাড় টপকে উপরে উঠতে হবে। দেলো পাহাড়ের চূড়ায় উঠে উপভোগ করুন মেঘ ছোয়ায় সুযোগটা একদম হাতের মুঠোয়। যতই উপরে উঠবেন ততোই দেখবেন তুলোর মতো মেঘ আপনাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।
অনিন্দ সুন্দর একটি বাড়ী আছে এখানে। এখানে ভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস বাগান চোখে পড়বে। এখানে এলে ভ্রমন পিপাসুদের মন ভরে যায়। সবাই এখানে প্রচুর ছবি তোলেন। কারন স্থানটি খুবই দৃষ্টিনন্দন। দেলো পাহাড়ের চূড়ায় একটি টূরিষ্ট কমপ্লেক্স আছে। পাহাড়ের চূড়ায় প্রায় ৫৭ একর জায়গা জুড়ে এই বিশাল ট্যুরিষ্ট কমপ্লেক্স। প্রবেশ ফি মাত্র ২০ টাকা। গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে সারি সারি সবুজ বন। চোখ জুড়িয়ে যাবে। নির্মল বাতাস আর শুনশান নীরবতা। মেঘের বাড়ীতে বেড়াতে এসে উপভোগ করুন প্রকৃতি। খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা আছে। পাহাড়ের উপর থেকে সিকিম দেখা যায়।
দার্জিলিং থেকে কালিম্পং এ বাসে যেতে পারেন। ভাড়া পড়বে জন প্রতি ১৫০ রুপি। সুমো গাড়ীতে করে দেলো পাহাড়ে উঠতে হয়। এখানে কিন্তু প্রচন্ড শীত। তাই অবশ্যই পর্যাপ্ত শীতের কাপড় নিয়ে যাবেন। বুঝতেই পারছেন মেঘের রাজ্যে ঠান্ডাটা একটু বেশী।