মহামারির কারণে অনেক মানুষই হয়ে পড়ছেন কর্মহীন। তার উপরে যদি কর্মস্থানে মানুষের বদলে নিযুক্ত করা হয় রোবট; তাহলে বেকারত্ব বেড়ে যেতে পারে!
তবে যা-ই হোক, নতুন এ উদ্যোগ গ্রহণের পর থেকে ৫ তারকা এক হোটেল রীতিমতো দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। ঝাঁক বেঁধে অনেকেই দেখতে যাচ্ছেন লেক্সি, মিকা এবং আরিয়েলকে। তারা সবাই রোবট।
এমনকি ফ্রন্ট ডেস্কে বসে অতিথিদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের সব প্রশ্নের জবাব দিতেও প্রস্তুত এই অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিসম্পন্ন যন্ত্রগুলো।
লেক্সি, মাইকা ও আরিয়েল ১৬৫ পাউন্ড পর্যন্ত লাগেজ বহন করে অতিথিদের নিজ কক্ষে পৌঁছে দেন। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলে চা-কফি-স্ন্যাকস এবং রাতের খাবারও তারা অতিথিদের রুমে পৌঁছে দিয়ে আসেন।
যেখানে করোনা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মানতে হয় সবাইকে; সেখানে লেক্সি, মিকা বা আরিয়ালের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হয় না। তারা স্বাভাবিকভাবেই মানুষের কাজকে সহজ করে দিয়েছে। অতিথিরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগে সংক্রমণের ভয় পান না।
যদিও জাপানে করোনা মহামারির পর থেকেই রোবোট দিয়ে বিভিন্ন দোকান, শপিংমল বা রেস্টুরেন্ট চালানো হচ্ছে। তবে এবারই প্রথম আফ্রিকার হোটেল স্কাই স্বয়ংক্রিয় পরিচারক হিসেবে রোবটদের ব্যবহার করছে।
যদিও অনেক অতিথিরাই রোবটের সঙ্গে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিসম্পন্ন এই যন্ত্রগুলো ঠিকই অতিথিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে এবং তাদের সব চাহিদা পূরণ করে।
সূত্র: রয়টার্স/হিন্দুস্তান টাইমস