কভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে বর্তমানে আন্তর্জাতিক পর্যটনে সামনের সারিতে রয়েছে জাপান। অতিপর্যটনের কারণে দেশটি অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি কিছু চাপের মধ্যেও রয়েছে।
সংবাদসংস্থার এক প্রতিবেদন অনুসারে, ভ্রমণকারীদের কেনাকাটা ও খাবারের খরচ জাপানের ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিকে নতুন ধরনের সমস্যায় ফেলেছে। এ কারণে কিছু কোম্পানি বিদেশে ইস্যুকৃত ক্রেডিট কার্ডের জন্য উচ্চ ফি আরোপের কথা ভাবছে।
বিদেশে ইস্যু করা ক্রেডিট কার্ড জাপানে ব্যবহার করা হলে স্থানীয় লেনদেনকারী কোম্পানিকে বাড়তি খরচ করতে হয়। তখন বিদেশী কার্ড ইস্যুকারী ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হোল্ডার যেমন ভিসা বা মাস্টারকার্ডের উভয়কেই ফি দিতে হয়। অনেক সময় এ অর্থের পরিমাণ জাপানের কোম্পানির ফির পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফি বাবদ জাপান কোম্পানিগুলোকে চলতি বছর ৩ হাজার কোটি ইয়েন বা ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি খরচ করতে হতে পারে, যা ২০২৩ সালে পরিশোধ করা ফির তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।
জাপানের বড় আটটি ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির ব্যাপারে সংবাদসংস্থার জরিপ বলছে, সাতটি কোম্পানির ক্ষেত্রেই লোকসান আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এদের মধ্যে ছয়টি কোম্পানি বলেছে, তারা বিদেশী কার্ডের জন্য ভিন্ন ফি প্রয়োগের কথা ভাবছে বা এরই মধ্যে আলাদাভাবে ফি নেয়া শুরু করেছে।