শোবিজের বিতর্কিত দুই নারী তারকাকে নিয়ে রমরমা অবসর কাটাতেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরাজিত কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা সরকারের হাজারো অপকর্মের তিন হোতা- অপসারিত মেজর জেনারেল জিয়া, অপসারিত রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর। নিজেরাই কেবল অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন না বরং এই তিনজনের ভোগ বিলাসে নারী সরবরাহ করেও দুই হাতে প্রচুর অর্থ কামিয়েছেন এই দুই শোবিজ তারকা।
এখন পুলিশ রিমান্ডে থাকা চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল আর সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান প্রতিদিনই মুখোমুখি হচ্ছেন জিজ্ঞাসাবাদের, ফাঁস করে দিচ্ছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঘৃণিত এই তিন কুচক্রীকে নিয়ে বিশেষ সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। তাতে উঠে এসেছে সোহায়েলের নারী লিপ্সার তথ্য। প্রকাশ পেয়েছে তার বিভৎস্য বিকৃত যৌনতার ঘটনাও। প্রমাণ মিলেছে জিয়াউল আহসান ও পলাতক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের জড়িত থাকার বিষয়েও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সমকামী সোহায়েল তার পিয়ন ও ব্যাটম্যানকে বাসায় রেখে নিয়মিত মেতে উঠতেন বিকৃত যৌনাচারে। শোবিজের অনেক নারীর সঙ্গে গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পর্ক। টিভি সিনেমার পরিচিত এক অভিনেত্রী আর বিতর্কিত এক সংবাদ পাঠিকা ছিলেন এই তিন কালপ্রিটের শয্যাসঙ্গী। তারা একেক সময় একেকজনের বাসনা পূরণে সঙ্গী হতেন। আর তাদের বিকৃত আকাঙ্ক্ষা মেটাতে জোগান দিতেন শোবিজের আরও বিভিন্ন নারী। তাদের একজন তিনি চারটি সিনেমার নায়িকা। কাজ করেছেন বেশ কিছু টিভি নাটকে। মাঝে মাঝে ছবি আঁকেন, কাক ভালোবাসেন, বইও লেখেন। চলচ্চিত্র পরিচালক পিতার উত্তরাধিকারের বড়াই করেন চড়া গলায়।
অন্যজন মিডিয়ার এক পরিচিত মুখ। দেশের স্বনামধন্য টিভি চ্যানেলগুলোতে সংবাদ উপস্থাপনার মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন। ক্যারিয়ারে উপরে উঠতে হাসিনা সরকারের তাবেদারি করা এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সঙ্গেও ছিল তার অবাধ মেলামেশা। কান পাতলে তার নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডের কথা মিডিয়া পাড়ায় শোনা যায়। গোপনে নিয়মিত এই দুই তারকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হতেন সোহায়েল, সঙ্গী হতেন জিয়া ও বেনজীর। নৌ বাহিনীর গাড়িতে তাদের আনা নেওয়া করা হতো। শুধু তাই নয় কাজ হাসিল করতে মনোরঞ্জনের জন্য বড় বড় নেতাদের কাছে মডেল অভিনেত্রীদের পাঠাতেন তিনি।
সব সময় মিডিয়ার লোকদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন সোহায়েল। তাদের কাছে তিনি সোহেল ভাই হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তার অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানার পরও তারা সেগুলো প্রকাশ করতেন না। কারণ তারা মুখ বন্ধ রাখতে নিয়মিত উৎকোচ পেতেন। এইসব কৌশল তিনি আয়ত্ত করেন র্যাব ও নৌ সদর দপ্তরের সাব মেরিন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে।