শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ অপরাহ্ন

জার্মানিতে অবৈধ অভিবাসন-মানবপাচার বেড়েছে

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪

২০২৩ সালে জার্মানিতে অভিবাসী পাচার সংক্রান্ত মামলা বেড়ে সাত হাজার ৯০২-এ দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ অফিস (বিকেএ)। বুধবার সংস্থাটি বলেছে, ২০২২ সালের তুলনায় এই সংখ্যা অন্তত ৬০ শতাংশ বেশি।

মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় এক চতুর্থাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে চার হাজার ৪০৪। সন্দেহভাজনদের বেশিরভাগই সিরিয়া, জার্মানি, তুরস্ক এবং ইউক্রেনের নাগরিক।

তদন্তকারীরা বলছেন, এসব ঘটনায় মানুষকে কনটেইনারে করে পরিবহণ করা হয়েছিল, যা মানুষের জীবন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আর এই প্রবণতাকে খুবই উদ্বেগের বলে মনে করেন তারা।

এক বিবৃতিতে বিকেএ জানিয়েছে, ‘এসব ঘটনায় ভাড়া নেওয়া সহজ এবং যেগুলোর জন্য বিশেষ ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না, সেসব ভ্যানগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে।’

পুলিশ বলছে, এ ধরনের যাত্রায় দুর্ঘটনা ঘটলে অক্সিজেন বা পানির অভাবের পাশাপাশি হাইপোথার্মিয়া বা আঘাতের ঝুঁকি রয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালে জার্মানিতে সামগ্রিকভাবে অনিয়মিত অভিবাসনও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সালে অন্তত দুই লাখ ৬৬ হাজার ২৪৪ জন অনিয়মিত অভিবাসী জার্মানিতে এসেছেন, যা তার আগের বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

তবে বেশিরভাগ সন্দেহভাজনকে জার্মান ফেডারেল পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

২০২৩ সালে ভিসামুক্ত চলাচলের ২৯টি দেশের শেঙ্গেন অঞ্চলের বহিঃসীমান্ত দিয়ে তিন লাখ ৮০ হাজার ২০০টি অনিয়মিত সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার প্রচেষ্টা রেকর্ড করেছে ইউরোপীয় সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা। ২০১৬ সালে পর এই সংখ্যাটি সর্বোচ্চ।

জার্মানিতে অনিয়মিত অভিবাসীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ২০৭ জন এসেছেন সিরিয়া থেকে। তুরস্ক থেকে এসেছেন ৩৫ হাজার ৭৩২ জন এবং আফগানিস্তান থেকে এসেছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ জন।

২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে জার্মান সীমান্তে পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় অন্তত ৭ শতাংশ।

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসারের নির্দেশে গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র এবং সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে থাকা সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে দেশটি। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

বিকেএ বলছে, ২০২৩ সালে অভিবাসী পাচারের রুটেও পরিবর্তন আসে। কারণ আগের বছরের তুলনায়, ২০২৩ সালে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালি এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগর হয়ে গ্রিস হয়ে শেঙ্গেনর বাহ্যিক সীমানা পেরিয়ে পাচার বেড়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com