শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন

আমিরাতের ভিসা: বাংলাদেশিদের ভুয়া সনদ ব্যবহার বন্ধে কঠোর হলো

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪

দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, প্রতিদিন কনস্যুলেটে প্রায় ৬০০-৭০০ ভিসা সত্যায়নের আবেদন আসত৷ যার সবগুলো দক্ষ শ্রমিক ভিসা। কিন্তু ভিসা সত্যায়নের সময় শিক্ষাগত সনদ যাচাই করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সেগুলো শতভাগই ভুয়া। এমনটা চলতে থাকলে দুবাইয়ে ব্যাংকার, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, নার্স, আইসিটি গ্রাজুয়েটদের ভিসা পাওয়ার সুযোগ হারানোর আশঙ্কা আছে।

ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সনদ দেখিয়ে দক্ষ কর্মী ক্যাটাগরিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পাওয়ার পথ বন্ধ হলো। মূলত বাংলাদেশিদের ভুয়া প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট ব্যবহার বন্ধে কঠোর হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

২০১২ সালের আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশিদের জন্য শ্রম ভিসা বন্ধ ঘোষণা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গৃহকর্মী ও পেশাজীবী উচ্চ শিক্ষিত কর্মীদের ভিসা চালু রাখা হয়৷ তবে করোনা পরবর্তী সময় কয়েক বছরে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে আমিরাতে এসে কাজের ভিসায় রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় এ সময় কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি। এরমধ্যে ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে ৪২ হাজার বাংলাদেশি এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।

তবে জুন মাস থেকে আবারও বাংলাদেশিদের সাধারণ শ্রমিক ভিসা, ভ্রমণে এসে ভিসা পরিবর্তন এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগও বন্ধ করে দেয় আমিরাত সরকার। কেবলমাত্র দুবাই শহরে উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য স্কিল ভিসা চালু রাখা হয়৷ এই সুযোগে অসাধু একটি চক্র অনলাইনে ভুয়া সনদ দাখিল করে ভিসা পাইয়ে দিচ্ছিল৷

এই পদ্ধতিতে সার্টিফিকেট জমা দিয়ে গত তিন দিন ধরে ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না বলে একাধিক বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সির সূত্রে জানা গেছে৷

দুবাই থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রাভেল এজেন্সির ম্যানেজার সোহেল আহমদ জানান, ‘গত দুই দিন থেকে সঠিক সার্টিফিকেট অনলাইনে দাখিলের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। সার্টিফিকেট কপি নিয়ে লেবার অ্যান্ড ইমিগ্রেশন দপ্তরে গিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। ভুয়া সনদ দাখিল করে ভিসা আবেদনের কারণেই এমনটা হয়েছে।’

দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, প্রতিদিন কনস্যুলেটে প্রায় ৬০০-৭০০ ভিসা সত্যায়নের আবেদন আসত৷ যার সবগুলো দক্ষ শ্রমিক ভিসা। কিন্তু ভিসা সত্যায়নের সময় শিক্ষাগত সনদ যাচাই করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সেগুলো শতভাগই ভুয়া। এমনটা চলতে থাকলে দুবাইয়ে ব্যাংকার, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, নার্স, আইসিটি গ্রাজুয়েটদের ভিসা পাওয়ার সুযোগ হারানোর আশঙ্কা আছে।

আমিরাতের শারজাহ প্রবাসী নাজমুল হক বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে৷ সার্টিফিকেট নকল করে ভিসার জন্য আবেদন করে অনেকেই ভিসা পেয়েছেন। আমিরাত সরকার এ ব্যাপারে কঠোর হবে, এমনটা অপ্রত্যাশিত ছিল না।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com