চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে দেশের ‘সম্পদ লুটেরাদের’ প্রধান সহযোগী ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে দেশের ‘সম্পদ লুটেরাদের’ প্রধান সহযোগী ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
চিঠিতে বলা হয়, দেবদুলাল ও আটক হওয়া সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক একই স্কুলের ছাত্র হওয়ায় পলক দেবদুলালকে ও মেজবাউল হককে জয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ব্যাংকিং সেক্টরের আইসিটিকে নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ক্রয়কাজে সিন্ডিকেট ফরম করেন। এ ছাড়া সদ্যোবিদায়ি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে, দেবদুলাল ও মেজবাউল হক মিলে পেমেন্ট সিস্টেমস ও আইসিটি বিভাগের সব ক্রয়সংক্রান্ত কাজে বিভিন্ন আইসিটি পণ্যের উৎপাদক, ডিস্ট্রিবিউটর ও সরবরাহকারী মিলে এক সিন্ডিকেট করে এক টাকার পণ্য ১০০ টাকায় ক্রয় করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বাধ্য করায়।
চিঠিতে বলা হয়, দেবদুলাল রায় ও মেজবাউল হকের পরিকল্পনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাটা সেন্টার বেসরকারি খাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরুর আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সব আইসিটি সিস্টেমস কেনাকাটা দেবদুলালের হাতে কুক্ষিগত হয়ে আছে। প্রকিউরমেন্ট সেকশনটি তাঁর সহযোগী জনবল দিয়ে সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেকশনের ওপর থেকে নিচের সব কর্মকর্তার তালিকায় আছে আইসিআই বিভাগের দুজন পরিচালক (তৃতীয় গ্রেড)। তাঁরা হলেন চন্দন সাহা ও পঙ্কজ কুমার মল্লিক। অতিরিক্ত পরিচালকদের (চতুর্থ গ্রেড) মধ্যে বিষ্ণু পদ বিশ্বাস, যুগ্ম পরিচালক (পঞ্চম গ্রেড) প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডল, উপপরিচালক (ষষ্ঠ গ্রেড) মিথুন সরকারের সমন্বয়ে সাজিয়ে নিয়ে অপকর্ম করা হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংক খাতের ঋণ ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সিআইবি। সিআইবিকে ব্যবসা ও দুর্নীতি করার অভিলাষে বেসরকারি খাতে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে অযাচিতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে সার্কুলার করা হয়েছে। দেবদুলাল সিআইবি সফটওয়্যারে সব কন্ট্রোল নিয়ে কর্মকর্তাদের কর্মহীন করে রেখেছেন। ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণ তথ্য আপডেট করার এবং সিস্টেমে তা নয়ছয় করার কন্ট্রোল দেবদুলালের হাতে নিয়েছেন।
চিঠিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে বর্তমানে চলমান সিবিএস ভারতীয় প্রতিষ্ঠান টাটা কনসাল্টিং সার্ভিসেস (আইসিএস) থেকে কেনা। মেজবাউল হক ও দেবদুলাল রায় আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এই কাজ করেছেন।