প্রতিদিনের কর্মব্যস্তময় জীবন থেকে ছুটি নিয়ে আমরা বাই ঘুরতে যেতে পছন্দ করি। এক্ষেত্রে কারো পছন্দ সমুদ্র, আবার কারো পাহাড়। তবে পাহাড়ের নিস্তব্ধতা আমাদের অনেক বেশি ডাকে। আর পাহাড়ে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
আর আমাদের কাছে পাহাড় মানেই পার্বত্য চট্টগ্রাম। বান্দরবান, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলাজুড়ে পাহাড় বিস্তৃত। এছাড়া কক্সবাজার, সিলেট ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতেও কিছু ছোট-বড় পাহাড়ের দেখা মেলে। আরও আছে ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোণা ও জামালপুর জেলার সীমান্ত এলাকায় গারো পাহাড়ের।
তবে পাহাড়ের পাশাপাশি ধীরে ধীরে পর্যটকদের কাছে পাহাড়ি গ্রামগুলোও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বর্ষার সময় এই পাহাড়ি গ্রামগুলো এক অনন্য রূপ ধারণ করে। তেমনই একটি রুমা উপজেলার মুনলাই গ্রাম। পাহাড়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট এই গ্রাম থেকে নিরিবিলিতে কাটিয়ে আসতে পারেন কয়েকটি দিন। এখানকার প্রকৃতি খুবই শান্ত।
এমন সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন গ্রাম অনুকরণীয় হতে পারে দেশের অন্য গ্রামগুলোর জন্য। পাহাড়ের ভাঁজে সবুজের ছোঁয়া, আর সেই সবুজের ফাঁকে বেঁকে চলা রাস্তা। রাস্তার দু’পাশে রংবেরঙের ফুলের গাছ, মাচার ওপর ছোট ছোট ঘর। এরই মাঝে ‘মুনলাই’ গ্রাম।
এই গ্রামের মানুষের প্রধান পেশা কৃষি। গ্রামের প্রতিটি বাড়িই ছিমছাম। কাঠের বাড়িগুলো বিভিন্ন ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো। কোথাও ময়লা-অবর্জনা নেই, প্রতিটি বাড়ির বাইরে রয়েছে ছোট ছোট ঝুড়ি।
ধীরে ধীরে পাহাড়প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই গ্রাম। বান্দরবান শহর থেকে মাত্র আড়াই ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যায় প্রশান্তময় এই পাহাড়ি গ্রামে। মুনলাই পাড়াতে হোম স্টে বেইজড ইকো কটেজ আছে।
যারা ঢাকা থেকে যেতে চান তাদের প্রথমে বান্দরবান পৌঁছাতে হবে। তবে রাতে রওনা দেওয়াই ভালো। তাহলে সকালে বান্দরবান পৌঁছেই নাশতা করে চান্দের গাড়ি করে মুনলাই গ্রামের উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন। আর এই গ্রামে একবার গেলেই পাবেন আসল গ্রামীণ পরশ।