বাঙালি পর্যটকদের কাছে অন্যতম পছন্দের ভ্রমনস্থল হলো দীঘা(Digha)। অনেকেই বছরে দুই থেকে তিনবার দীঘায় ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। হাতে দু-একদিনের ছুটি পেলে ব্যাগপত্র গুছিয়ে দীঘার উদ্দেশ্যে রওনা হন সমুদ্রপ্রেমী বাঙালিরা। আর এখন এই পর্যটকদের পছন্দ-অপছন্দের কথা এবং সুবিধার কথা মাথায় রেখে দীঘা প্রশাসনের তরফ থেকেও নানারকমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
এখন দীঘার রূপ অনেক বদলে গেছে। আর এবার আরও একটি নতুন পরিষেবা খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। এই পরিষেবা গরমের ছুটিতেই শুরু হচ্ছে। কিছু মাস আগে থেকেই দিঘা প্রশাসন একটি পরিষেবা চালুর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। সেইমতো সমস্ত তোরজোড় শুরু হয়। কিন্তু নানা কারণে সেই কাজ থমকে যায়। তবে এবার পর্যটকদের জন্য ভেসে বেড়াবে, প্রমোদতরী। গরমের ছুটিতেই এই প্রমোদতরী দীঘা সমুদ্র সৈকতে পাড়ি দেবে পর্যটকদের নিয়ে।
পর্যটকদের এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই সমুদ্রপক্ষে পাড়ি দেওয়ার জন্য এমভি নিবেদিতা নামক একটি লঞ্চ দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের হাতে তুলে দিয়েছিল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। এই প্রমোদতরীতে চড়ে পর্যটকেরা সমুদ্রের মাঝখানে গিয়ে সমুদ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের নানা জীবনযাত্রা উপলব্ধি করার সুযোগ পেতো। আর এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও নানা রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এবার গোয়ার মত দিঘাতেও বিলাসবহুল লাক্সারি ক্রুজ সমুদ্রপক্ষে পাড়ি দেবে। দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে এই প্রমোদতরীতে পর্যটকেরা এক ঘন্টা ভ্রমণ করতে পারবেন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মিলবে এই পরিষেবা। প্রমোদতরীতে বাতানুকূল হওয়ার পাশাপাশি সেখানে বিনোদনের জন্য নানারকমের ব্যবস্থা থাকবে। এর পাশাপাশি এই প্রমোদতরীতে থাকবে রেস্তোরাঁ। যেখানে খাওয়াদাওয়া জমিয়ে করা যাবে।
এই প্রমোদতরীতে দুটি ডেক থাকবে এবং ৮০ জন পর্যটক এই প্রমোদতরীতে ভ্রমণ করতে পারবেন। খরচ খুব সাধ্যের মধ্যেই হবে। তবে খুব মজা করে পর্যটকেরা এই প্রমোদতরীতে ভ্রমণ করতে পারবেন বলে মনে করা হয়েছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই এই প্রমোদতরীতে ভ্রমণের সুযোগ পেয়ে যাবেন পর্যটকেরা।