ছড়ার ভেতরের পথ প্রায় ৬০০ গজ। দুপাশে কাল পাথরের দেয়াল। এই ছড়াটি দেখতে অনেকটা ড্রেনের মত হয়। দু’দিকে পাহাড় মাঝখানে চিকন ছড়া, উপরে নানা জাতের গাছের ছাউনি। সব মিলিয়ে একটি সুরঙ্গ পথের মতো। কালো পাথরের ঢিপি ধরেই আপনাকে হেঁটে যেতে হবে ছড়ার ভেতর দিয়ে। ধীর গতিতে পা টিপে টিপে ছড়ার ভিতর ঢুকতে হবে। ছড়ার শেষ মাথায় পৌঁছাতে কমপক্ষে তিন ঘণ্টার মতো সময় লাগে। পাথরের দেয়ালের জন্য ঝরনার যতই ভেতরে যাবেন, ঠাণ্ডা অনুভব করবেন। তবে এখানে আসার পথটা দারুণ। পথে পথে খাগড়াছড়ির সব সৌন্দর্যই দেখতে পাবেন। ছোট ছোট সবুজ পাহাড়, পাহাড়ের গা বেয়ে নামা ঝরনা, ছড়ার পাশে ফুটে থাকা বুনোফুল, নাম না জানা পাখি আপনাকে মুগ্ধ করবে। আশপাশের গ্রাম থেকে পানি নিতে গ্রামবাসীরা আসেন এই ছড়ায়। ঠাণ্ডা ছড়ার পাশেই খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। চমৎকার প্রাকৃতিক শোভার এই প্রতিষ্ঠানটিতে ঘুরে যেতে পারেন। পুরো ঠাণ্ডা ছড়াটি দেখতে চাইলে আপনাকে সকাল সকাল এই স্পটটিতে পৌঁছাতে হবে এবং সঙ্গে দুপুরের খাবার নিয়ে আসবেন। ছড়াটির একটি বিশেষ দিক হল গরমের দিনেও এর পানি অনেক ঠাণ্ডা থাকে। যারা ঘুরতে গিয়ে এডভেঞ্চারের আমেজ পেতে চান তাদের জন্য দারুণ একটি জায়গা হল এই ঠাণ্ডা ছড়া।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন, শ্যামলী, হানিফ, শান্তি পরিবহন ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে চড়ে খাগড়াছড়ি যেতে পারেন। ভাড়া পড়বে ৪৭০ থেকে ৫২০ টাকা। এছাড়া বিআরটিসি পরিবহনের বাসে চড়েও যেতে পারেন খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি শহর থেকে সিএনজি কিংবা ব্যাটারিচালিত টমটমে করে দীঘিনালা উপজেলা সড়ক দিয়ে চলে যাবেন ধর্মঘর এলাকায়। প্রায় তিন কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পেরোতে হবে এখানে আসতে। এখান থেকেই হেঁটে ঠাণ্ডা ছড়ায় পৌঁছাতে হবে। ধর্মঘরে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই আপনাকে দেখিয়ে দেবে ঠাণ্ডা ছড়ার পথ।
যেখানে থাকবেন:
খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেলসহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল রয়েছে।পর্যটন মোটেল: মোটেলের সব কক্ষই ২ বিছানার। ভাড়া: এসি ২১০০ টাকা, নন-এসি ১৩০০ টাকা। এসি স্যুইট রুম ৩১০০ টাকা। যোগাযোগ: ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫।
ইকো ছড়ি ইন হোটেল : এটি রিসোর্ট টাইপের হোটেল। যোগাযোগ: ০৩৭১-৬২৬২৫, ৩৭৪৩২২৫।
শৈল সুবর্ণ হোটেল : ০৩৭১-৬১৪৩৬, ০১১৯০৭৭৬৮১২।
জেরিন হোটেল : ০৩৭১-৬১০৭১।
লবিয়ত হোটেল : ০৩৭১-৬১২২০, ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬।
শিল্পী হোটেল : ০৩৭১-৬১৭৯৫।