বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া, খরচ, আবেদন যোগ্যতা এবং আবেদন স্থান
অস্ট্রিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
১. আবেদন যোগ্যতা
অস্ট্রিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে:
– শিক্ষাগত যোগ্যতা: নির্দিষ্ট পেশার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।
– কাজের অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
– ভাষা দক্ষতা: জার্মান বা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
– চাকরির অফার: অস্ট্রিয়ার কোনো কোম্পানি থেকে বৈধ চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে।
২. আবেদন প্রক্রিয়া
ক. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুতকরণ
– পাসপোর্ট*: বৈধ পাসপোর্টের কপি।
– চাকরির অফার লেটার: অস্ট্রিয়ার কোম্পানির অফার লেটার।
– শিক্ষাগত সনদ: শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র।
– কাজের অভিজ্ঞতার সনদ: কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র।
– ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র: জার্মান বা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র।
– ফটো: পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
– অর্থনৈতিক প্রমাণপত্র: ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রমাণপত্র।
খ. ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ
– অনলাইন আবেদন: অস্ট্রিয়ার ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে।
– প্রিন্ট কপি: ফর্মের প্রিন্ট কপি নিয়ে জমা দিতে হবে।
গ. ভিসা আবেদন ফি জমা
– নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি সাধারণত ১৫০ থেকে ২০০ ইউরোর মধ্যে হতে পারে, তবে এটি পরিবর্তন হতে পারে।
ঘ. ভিসা ইন্টারভিউ
– ভিসা ইন্টারভিউয়ের জন্য দূতাবাস থেকে ডাকা হতে পারে। ইন্টারভিউয়ের সময় সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাথে রাখতে হবে।
ঙ. মেডিকেল পরীক্ষা
– ভিসা আবেদনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হতে পারে এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হতে পারে।
৩. আবেদন প্রক্রিয়াকরণ সময়
– ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত ৬০ থেকে ৯০ দিন সময় লাগে।
৪. খরচ
– ভিসা আবেদন ফি: ১৫০ থেকে ২০০ ইউরো।
– ডকুমেন্টস প্রসেসিং ফি: ৫০ থেকে ১০০ ইউরো।
– মেডিকেল পরীক্ষা: ৫০ থেকে ১০০ ইউরো।
– অন্যান্য খরচ: যাতায়াত ও হোটেল বুকিংয়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ হতে পারে।
অস্ট্রিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল এবং ধৈর্য্য প্রয়োজন। তবে, সঠিকভাবে সকল ধাপ অনুসরণ করলে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সঠিকভাবে জমা দিলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়া, প্রয়োজনে কোনো অভিজ্ঞ ভিসা কনসালট্যান্টের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। যাত্রা শুভ হোক!
Like this:
Like Loading...