স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ব মানের শিক্ষাব্যবস্থা, সময়োপযোগী বিষয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য মিলিয়ে কেবল বাংলাদেশ নয় বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী শিক্ষার্থীদের কাছেই ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে পছন্দের বিবেচনায় সম্ভবত সবচেয়ে এগিয়ে জার্মানি। বিশ্বের ধনী দেশগুলোর অন্যতম জার্মানি। তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রসরমান এই দেশ শিক্ষাসহ নানা দিক দিয়ে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয়। বিশেষ করে দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত আধুনিক ও যুগোপযোগী।
জার্মানির বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখের মধ্যে ১২ শতাংশের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা করেন। জার্মানির কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়াই ভর্তির সুযোগ রয়েছে। তবে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইইএলটিএসের বিকল্প একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবেই এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ভর্তির জন্য এ সুযোগ পাবেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।
আইইএলটিএস বা অন্য কোনো ভাষা–দক্ষতা পরীক্ষা না দিয়েই শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয় এমন কয়েকটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় হলো-
* ইউনিভার্সিটি অব কাইসারস্লটার্ন
* ইউনিভার্সিটি অব সিয়েজেন
* ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব বার্লিন
* ইউনিভার্সিটি অব গিজেন
* ইউনিভার্সিটি অব কোবলেঞ্জ অ্যান্ড ল্যান্ডউ
* ব্রাউনচেইইউগ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
* এসলিনজেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স
আইইএলটিএসের বিকল্প পরীক্ষাঃ-
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আইইএলটিএস ছাড়া ভর্তির সুযোগ আছে। তবে আইইএলটিএসের বিকল্প একটি পরীক্ষা নেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ভাষা–দক্ষতার প্রমাণ হিসেবেই তারা এ পরীক্ষা নেবে।
* ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণের জন্য পূর্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোর্সে সম্পূর্ণরূপে ইংরেজি ভাষায় পড়ানো হয়েছিল এমন একটি সনদ জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। অর্থাৎ সর্বশেষ পড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব কোর্স যদি সম্পূর্ণরূপে ইংরেজি ভাষায় পড়ানো হয়, সেটির সনদ জমা দিতে হবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণের জন্য।
* শিক্ষার্থী স্নাতকে সব কোর্স সম্পূর্ণভাবে ইংরেজি মাধ্যমে পড়লে আইইএলটিএস লাগবে না। শিক্ষার্থী যদি পিটিই (PTE), টোয়েফল (TOEFL), ডুয়োলিঙ্গো (Duolinguo) বা সিএই (CAE) পরীক্ষার সনদ থাকে, তবে আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হবে না।
* কিছু জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাই করে।
কেন পড়বেন জার্মানিতে?
জার্মানিকে উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়ার কিছু আছে। সেগুলো হলো;
* পড়ালেখা শেষে গবেষণা ও পূর্ণকালীন কাজ করার সুযোগ।
* পড়াশোনা শেষে স্থায়ীভাবে থাকার সুবিধা।
* ডেন্টাল, মেডিসিন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার, আর্কিটেকচার, ব্যবসা ও আইনে পড়ার সুযোগ
* জার্মানির ১৬টি প্রদেশের মধ্যে ১৪টিতে শিক্ষার্থীদের কোনো টিউশন ফি দিতে হয় না। প্রতি ছয় মাসে ২০০ থেকে ৪০০ ইউরো সেমিস্টার ফি দিতে হয়, যার মধ্যে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে রাজ্যে অবস্থিত, সেখানকার সব ধরনের গণপরিবহনের ভাড়াও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
* আন্তর্জাতিক মানের একাডেমিক পাঠ্যক্রম।
* শেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের সুবিধা।
* জার্মানিতে এসে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কারণ, এতে DAAD বৃত্তিও পেতে সুবিধা পেতে পারেন।
* জার্মান ভাষা বিনা মূল্যে শেখার সুযোগ। আর এতে জার্মানিতে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে।