মালয়েশিয়ার প্রিমিয়াম ভিসায় (পিভিআইপি) আবেদন করেছেন, বাংলাদেশিসহ ৪৭ জন বিদেশি। ধনী বিনিয়োগকারীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে মালয়েশিয়া সরকার পিভিআইপি চালু করে ২০২২ সালের অক্টোবরে।
২০২২ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রামে আবেদন করেছেন মাত্র ৪৭ জন বিনিয়োগকারী। ২৯ মার্চ পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতিমন্ত্রী টিয়ং কিং সিং এক বিবৃতিতে বলেন, যারা আবেদন করেছেন তাদের বেশিরভাগই তাইওয়ান এবং চীনের।
তিনি বলেন, দুই দেশের পাশাপাশি প্রিমিয়াম ভিসাধারীদের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের দুইজন, জার্মানির দুইজন, যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন, দক্ষিণ আফ্রিকার তিনজন, জাপানের একজন, তুর্কির একজন এবং বাংলাদেশের একজন রয়েছেন।
২০২২ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদিন একচেটিয়া রেসিডেন্সি-বাই-ইনভেস্টমেন্ট ভিসা চালু করেছিলেন এবং শুরু থেকেই এই কর্মসূচি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল।
শুরুতে, মন্ত্রণালয় প্রিমিয়াম ভিসার জন্য ২০ হাজার আবেদনকারীর প্রথম পর্যায়ের লক্ষ্য ঘোষণা করেছিল। প্রত্যেক আবেদনকারীকে ২ লাখ রিঙ্গিত, প্রত্যেক নির্ভরশীলের ক্ষেত্রে ১ লাখ রিঙ্গিত এবং বার্ষিক ফি হিসাবে বছরে ২ হাজার রিঙ্গিত দিতে হবে।
প্রিমিয়াম ভিসার বাসিন্দারা কাজ, ব্যবসা এবং সম্পত্তি কিনতে পারবেন। এছাড়া শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন। আবেদনকারীর মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার রিংগিত আয় থাকতে হবে এবং একটি স্থানীয় ব্যাংকে ১০ লাখ রিঙ্গিত আমানত থাকতে হবে।
একজন প্রিমিয়াম ভিসাধারীকে ২০ বছর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় থাকার জন্য একটি মাল্টিপল-এন্ট্রি পাস দেওয়া হয়।
২০২২ সালে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকব এই প্রোগ্রামের জন্য ২০৬ মিলিয়ন রিঙ্গিতের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন।
মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএমটুএইচ) প্রোগ্রামে ২০১৮ সালে পাঁচ হাজার ৬১০টি এবং ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৯২৯টি আবেদন অনুমোদিত হয়। যদিও এই প্রোগ্রামটি ২০২০ সালের আগস্টে সাময়িক বন্ধ করা হয়েছিল। এরপর ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৬৮টি আবেদন অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।