বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ নীতিতে হঠাৎ পরিবর্তনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দ্য ফেডারেশন মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচার (এফএমএম)। ফেডারেশনটি শঙ্কা করছে, এই পরিবর্তন উৎপাদন খাতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
৬ মার্চ এ খবর উঠে আসে, মালয় মেইলসহ দেশটির বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে।
মালয়েশিয়ার শিল্প কলকারখানা অচলের শঙ্কা করে ফেডারেশনটির সভাপতি, তান শ্রী সোহ থিয়ান লাই, এক বিবৃতিতে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। ফেডারেশনটি চলমান কোটা বাতিল এবং বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালার সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।
তিনি উল্লেখ করেন, এই সিদ্ধান্তটি শিল্পখাতের মালিকদের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল, বিশেষ করে যখন এই খাত বিক্রয়, উৎপাদন, মূলধন বিনিয়োগ এবং নিয়োগ বৃদ্ধির আশা করছে।
তান শ্রী সোহ আরও বলেন, কোটা বৈধতার মেয়াদ কমানো এবং মাত্র এক মাসের নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য নির্ধারিত কঠোর সময়সীমা উদ্বেগজনক। তিনি আশঙ্কা করেন, এটি শ্রমিকদের সময়মতো নিয়োগে বাধা সৃষ্টি করবে এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করবে।
নীতি পরিবর্তনের অধীনে ঘোষিত এক মাসের সময়সীমার মধ্যে নিয়োগকর্তাদের কলিং ভিসার জন্য ৩১ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে এবং ৩১ মে এর মধ্যে ভিসা, ভিডিআর, মেডিকেল সম্পন্ন করে সকল শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
ফেডারেশনটি দেশটির সরকারের কাছে বিশেষ বিবেচনার জন্য অন্তত ৬ মাসের মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে, যেন শিল্প খাত সরকারের লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি নিজেদের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে পারে। এক্ষেত্রে তারা নীতি বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে ৬ মার্চ, মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এনসিসিআইএম) অভিবাসীকর্মী নিয়োগের সময়সীমা বেধে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে।