রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন

এজেন্সি ছাড়াই ই-ভিসা নিতে পারবেন মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা

  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে ই-ভিসা আবেদনের জন্য কোন এজেন্সির সহায়তা লাগবে না৤  মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা এখন থেকে নিজেরা সরাসরি ইমিগ্রেশন বিভাগের মাইভিসা পোর্টালের মাধ্যমে  ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারছেন৤ আর এজন্য সরকার নিয়োগকর্তাদের সক্রিয় আইডি এবং ব্যবহারকারীর ম্যানুয়াল দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল।

শুক্রবার (৮মার্চ) মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা এই সংবাদ প্রকাশ করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেন, বাংলাদেশের জন্য সরাসরি ই-ভিসা আবেদন করার ফলে নিয়োগকর্তাদের কোটা ব্যবহারে সুবিধা হবে এবং প্রক্রিয়াটির এক থেকে দুই দিনের মধ্যে শেষ করা যাবে।

সেই ধাপের একটি হচ্ছে ই-ভিসা৤ মূলত মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য ৩ মাসের সময় দিয়ে এই ই-ভিসা ইস্যু করা হয়৤

এই ই-ভিসা নিতে আগে মনোনিত প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হতো৤  নতুন ঘোষণা অনুযায়ি মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা সরাসরি তাদের জন্য নি‍‍র্ধারিত মাইভিসা (MYVISA) পোর্টালের মাধ্যমে  ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারছেন৤  এতে সময় কম লাগবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৤

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ৩১ মার্চের পরে অব্যবহৃত বিদেশি কর্মী কোটা বাতিল করার সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে৤  ভিসা অনুমোদনের পর অভিবাসী কর্মীদের মালয়েশিয়ায় আনার জন্য নিয়োগকর্তাদের এই বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময় থাকবে। এই সময়ের পরে আগের অনুমোদিত কোটায় আর কোন বিদেশি ক‍‍র্মী মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে না৤

মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অব ন্যাশনাল চেম্বারের কর্মী নেয়ার মেয়াদ বাড়ানোর আহবান নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সাইফুদ্দিন বলেন, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় মালয়েশিয়ার জনশক্তির পাশাপাশি শ্রম চাহিদা বিবেচনায় নেওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে মালয়েশিয়ায় কত সংখ্যক  বিদেশি কর্মীদের চাহিদা রয়েছে, তা সঠিকভাবে জানা যাবে।

এছাড়া সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেন, গেল ১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে গতকাল (৭ মার্চ) পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৯৮৩ জন অবৈধ অভিবাসী নিবন্ধিত হয়েছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৮৬৪ জন তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রত্যাবাসন কর্মসূচিতে ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ৩ হাজার ১১৫ কর্মী অংশগ্রহণ করেছে। তারপরে বাংলাদেশ থেকে ৮৪৬ জন এবং ভারত থেকে অংশগ্রহণ করেছে ৭০০ জন। এছাড়া অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমার, ফিলিপাইন, ইয়েমেন, সিরিয়া, মিশর, নাইজেরিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং চীন।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com