প্রকৃতির সৌন্দর্যের অপরূপ দ্বীপ ভোলার চরফ্যাশনের কুকরি-মুকরিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। তবে বিগত সময়ের চেয়ে ভ্রমণপিপাসুদের আগমন কিছুটা কম।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা এখানে এসে মেতে উঠছেন আনন্দ-উচ্ছ্বাসে।
প্রকৃতির নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করে ক্যামেরাবন্দি করছেন তারা। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা উন্নত হলে এটি দিন দিন আরও দর্শনীয় স্পটে পরিণত হবে।
বনবিভাগ বলছে, দর্শনীয় এ স্পটটির অবকাঠামোর উন্নয়ন করে গড়ে তোলা হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে।
বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা দৃষ্টিনন্দন দ্বীপ কুকরি-মুকরি প্রকৃতিগত ভাবেই যেন গড়ে উঠেছে অপরূপ সৌন্দর্যে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও শীত মৌসুমে পর্যটকদের ঢল নেমেছে স্থানটিতে। তবে এবার পর্যটক কিছুটা কম হলেও আগত ভ্রমণপিপাসুদের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো দ্বীপ।
কুকরি-মুকরির দর্শনীয় স্পটগুলোর মধ্যে ইকোপার্ক, নারিকেল বাগান, কুকরি বিচ, ঝুলন্ত সেতু ও মাকড়শার জাল দেখতে ভুল করছেন না কেউ। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকরা দর্শনীয় এসব স্পট দেখে মুগ্ধ।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা শিবলি রহমান, আজাদ মাহমুদ ও শামিম বলেন, রাজধানীর কোলাহলমুখর পরিবেশ থেকে একটু প্রশান্তি পেতে ছুটে এসছি প্রকৃতির মাঝে। এখানকার পরিবেশ দেখে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি। সারাদিন ছবি তোলা আর আনন্দ-উচ্ছ্বাস করে সময় পার করছি খুব ভালো লাগছে।
কুকরি-মুকরির চারদিকে ম্যানগ্রোভ বাগান, বসার জন্য ছাতা আর তাঁবু টাঙিয়ে নির্মল পরিবেশে ক্লান্তি দূর করছেন পর্যটকরা। কেউ আবার খেলাধুলা আর ছবি তোলায় ব্যস্ত। তবে বেশ কিছু অবকাঠামোর উন্নয়ন চান এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা আনিসুর রহমান ও রাসেল বলেন, পর্যটকরা একটু সুবিধা পেতে চায়, সেই সুবিধা পেলে উন্নত হবে। উন্নয়ন হবে অর্থনীতির। সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা তার মধ্যে থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে আরও পর্যটক বাড়বে।
এদিকে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে কুকরি-মুকরি আগের চেয়ে বেশ উন্নত হওয়ার ফলে পর্যটক বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)।
কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন বলেন, সারা দেশের মানুষ এক নামেই চিনে কুকরি-মুকরিকে। তাই প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। বিগত বছরের মতো এবছরও পর্যটকদের সমাগম হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলা উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কুকরি দ্বীপকে আরও সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু অবকাঠামো হয়েছে। পর্যটকরা এখানে এসে যেন পরিপূর্ণ তৃপ্তি পান, সেজন্য আর অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে।
এদিকে সাগর উপকূলের এ দ্বীপটিতে যদি আরও অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়। বিশেষ করে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, তাহলে পর্যটকদের সমাগম আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম