আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা এআই বিশ্বের প্রায় সব ধরনের চাকরির প্রায় ৪০ শতাংশে প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। একইসঙ্গে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের পরিমাণও বাড়াবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) আইএমএফ’র একটি বিশ্লেষণে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেছেন, ‘বেশিরভাক্ষেত্রেই সামগ্রিক বৈষম্যকে আরও খারাপ খারাপ করে তুলবে এআই।’
অল্প সময়ের মধ্যে এআই এর ব্যাপক বিস্তার এর সুবিধা এবং ঝুঁকিগুলোকে আলোচনায় রেখেছে। আইএমএফ বলেছে, চাকরির বাজারে একটি বৃহত্তর অংশকে প্রভাবিত করতে পারে এআই। উন্নত অর্থনীতিতে এই অনুপাত প্রায় ৬০ শতাংশ। তবে এর অর্ধেক ক্ষেত্রেই কর্মীরা এআই’কে কাজে লাগিয়ে উপকৃত হওয়ার আশা করতে পারেন। এটি তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।
সহজ করে বললে, এআই’র মূলত মানুষের করা প্রধান কাজগুলো সম্পাদন করার ক্ষমতা থাকবে। ফলে কর্মক্ষেত্রে এটি শ্রমের চাহিদা কমাতে পারে এবং মজুরিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি এটি মানুষকে চাকরি থেকে ছাটাই করার কারণও হতে পারে।
তবে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এআই মাত্র ২৬ শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে বলে জানিয়েছেন আইএমএফ। কারণ উচ্চ আয়ের এবং অল্প বয়স্ক কর্মীরা এআই এর সুবিধা নেয়ার ফলে তাদের মজুরির অসম বৃদ্ধি হতে পারে। ফলে নিম্ন আয়ের এবং বয়স্ক কর্মীরা পিছিয়ে পড়তে পারেন বলে মনে করছে সংস্থাটি।
জর্জিয়েভা বলেন, ‘এই দেশের অনেকের কাছেই এআই এর সুবিধাগুলো কাজে লাগানোর মতো অবকাঠামো বা দক্ষ কর্মী নেই। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রযুক্তি দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্যকে আরও তীব্র করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।’
সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা জড়ো হওয়ার সময় আইএমএফ’র এই বিশ্লেষণটি সামনে আসে। চ্যাটজিপিটির মতো অ্যাপ্লিকেশনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পর একটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুকে পরিণত হয় এআই।