বিশ্বে এমন অনেক নারীই আছেন যারা শত কোটি ডলার বা তারও বেশি সম্পদের মালিক। কিন্তু ১০০ বিলিয়ন তথা ১০ হাজার কোটি ডলারের মালিক একজনও ছিলেন না। অন্তত গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। সেই মাইলফলকই ছুঁয়েছেন ফ্রান্সের ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট মেয়ার্স।
তিনিই প্রথম নারী যিনি ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদের অধিকারী হয়েছেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, এদিন তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ক্রমবর্ধমান ফ্যাশন ও কসমেটিক শিল্পের ওপর ভর করে তরতর করে বাড়ছে তার সম্পদ।
ফ্রাঁসোয়া বিশ্ববিখ্যাত প্রসাধনী ব্র্যান্ড ল’রিয়েলের প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন শুয়েলারের নাতনি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মালিক তিনিই। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারের ইনডেক্স অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ১২তম ধনী ব্যক্তি ফ্রাঁসোয়া।
ফ্রাঁসোয়ার পর রয়েছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। আর আগে রয়েছেন সম্প্রতি ল্যাটিন আমেরিকা থেকে প্রথম ১০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক হওয়া কার্লোস স্লিম।
সিএনএনের প্রতিবেদন মতে, বর্তমানে ল’রিয়েলের স্টক বা শেয়ার রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বাজারদর ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। করোনা মহামারির পর ভোক্তারা বিলাসী পণ্যে খরচ বাড়ানোয় এমনটা ঘটেছে। ফ্রাঁসোয়া ও তার পরিবার ল’রিয়েলের ৩৪ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক ছিলেন।
গত শতকের ত্রিশের দশকে ইউজিন শুয়েলার ল’রিয়েল গ্রুপের প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর উত্তরাধিকারী হন তার মেয়ে লিলিয়ান বেটেনকোর্ট।
২০১৭ সালে লিলিয়ান মারা গেলে উত্তরাধিকার সূত্রে মায়ের সম্পত্তি পান ফ্রাঁসোয়া। তিনি পরিবারিক হোল্ডিং কোম্পানি টেথিসের চেয়ারপারসন ও ল’রিয়েল গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারপারসন।
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এ প্রসাধনী কোম্পানি ল্যানকম থেকে মেবেলাইনের মতো নামী ব্র্যান্ডের অধিকারী। কোম্পানির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৪২ বিলিয়ন বা চার হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য বিক্রি করে ল’রিয়েল।