শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন

বসবাস আর চাকরির দারুণ সুযোগ অস্ট্রেলিয়ায়

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

ওশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপদেশ অস্ট্রেলিয়া সবসময়ই অভিবাসন প্রত্যাশীদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য। শান্তি-শৃংখলা, সামাজিক নিরাপত্তা, পরিবেশ, চাকরি, জীবন মান ও খরচ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও চিকিৎসার মানের দিক দিয়ে ক্রিকেট আর ক্যাঙ্গারুর দেশ হিসেবে পরিচিত অস্ট্রেলিয়া সবসময়ই সেরা।

ভারত মহাসাগর, তিমুর, আরাফুরা, তাসমান ও প্রবাল সাগর এবং টরেস ও ব্যস প্রণালীর বেড়ে শান্তির সওদা নিয়ে শুয়ে থাকা দেশটির শহরগুলো তাই অভিবাসীদের কাছে অনেক বেশি প্রিয়।ভিসা প্রত্যাশীদের প্রথমেই জেনে রাখা দরকার, অস্ট্রেলিয়ান সরকার মূলত ৬ (ছয়) ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে।এগুলো হলো- Visitor visas, Working and skilled visas, Studying visas, Family and spousal visas, Other visas, Repealed visas (these visas are not available to apply for as main applicant)। সঠিক পরিকল্পনায় অগ্রসর হলে বাংলাদেশিরা সহজেই Working and skilled visa ক্যাটাগরিতে আবেদন করে ভিসা পেতে পারেন। সুযোগ নিতে পারেন অস্ট্রেলিয়ায় কাজ ও বসবাসের।অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেশনের সব প্রোগ্রাম বেশ কিছু সাব-ক্লাসের মাধ্যমে আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। যেমন – Subclass 189 Skilled Independent Visa, Subclass 190 State Nominated Visa, Subclass 489 Regional Sponsored Visa, Subclass 485 Temporary Graduate Visa।এছারা বিশেষ ক্যাটাগরিতে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে- Subclass 457 Employer Sponsored Temporary Visa, Subclass 186 Employer Nominated Permanent Residence Visa, Subclass 402 Training and Research Visa।

Australia Skill Migration and Subclass 457 Visa প্রোগ্রাম অস্ট্রেলিয়া সরকারের  জনপ্রিয় প্রোগ্রামগুলোর অন্যতম। সপরিবারে অভিবাসনের সঙ্গে কাজ ও বসবাসের সুযোগ থাকায় এই প্রোগ্রামটিই সবার পছন্দ।

Subclass 457 ভিসা

আপনি আপনার গ্র্যাজুয়েশনের বা শিক্ষার উপর নির্ভর করে Subclass 457 এর অধীনে আবেদন করেও আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। এ ক্যাটাগরিতে Engineer,  IT, accommodation and food services, Science and technologyসহ আরো অনেক পেশায় স্বল্প সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় সপরিবারে বসবাস ও কাজ করার অনুমতি পাওয়া যায়।
এই প্রোগ্রামটির উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলো হলো- Job/ Without Job(Subclass 186),  ৪ বছর কাজ করার সুযোগ, কমপক্ষে ৫ আই.ই.এল.টি.এস স্কোর, নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা গ্র্যাজুয়েশন, সপরিবারে অভিবাসনের সুযোগ, পরিবারের সদস্যদেরও কাজ ও পড়াশুনার সুযোগ, স্বল্প সময়ে প্রসেস সুবিধা ও আগে এলে আগে পাবেন পদ্ধতি অনুসরণ।

Australia Skilled Migration visa

এ ক্যাটাগরিতে সব শ্রেণির Engineer, IT Professional, Accountant, Auditor, Architect,  Dentist, Pharmacist, Therapist, Radiologist, Nurse, Sonographer, Pathologist, Electrician, Carpenter, Cook, Plumber, Welder, Surveyor, Fitter ইত্যাদি পেশার লোকজন তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন।

এই প্রোগ্রামে আবেদন করার নুন্যতম যোগ্যতা হলো-

বয়স সীমা: Australia Skilled Migration visa প্রোগ্রামে আবেদনে ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স অবশ্যই ৫৫ বছরের নিচে হতে হবে। প্রথমে আপনাকে Expression of Interest (EOI) submit করতে হবে- invitation এলে main application lodge করতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অনার্স/মাস্টার্স ডিগ্রি

কাজের অভিজ্ঞতা: প্রথমে মনে রাখতে হবে, Australia এর বাইরের যে কোনো ডিগ্রিকে Australia-র সমমানের করার জন্য প্রার্থীকে ওই একই ফিল্ডে minimum 5 years (ক্ষেত্র বিশেষে তিন বছর) কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।

ইংরেজি জ্ঞান: প্রার্থীকে অবশ্যই IELTS (General অথবা Academic version) এর প্রতিটি module-এ আলাদা আলাদা করে ৬.০+ স্কোর করতে হবে। কোনো প্রার্থী যদি প্রতিটি module-এ আলাদা আলাদা করে ৭.০+ স্কোর করতে পারেন, সেক্ষেত্রে তিনি আবেদনের সঙ্গে আরো ১০ পয়েন্ট পাবেন।

Business Migration/Entrepreneur Program
এ প্রোগ্রামের আওতায় রয়েছে- Subclass 188 Business & Innovation (Provinsional) Visa, Subclass 888 Business & Innovation (Permanent) Visa, Subclass 132 Business Talent Visa।

অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেশনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- Permanent Residency ভিসা নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সন্তানরা প্রতি মাসে সোশ্যাল বেনিফিট পাওয়া শুরু করবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরিবারের সবার জন্য বিনা খরচায় স্বাস্থ্যসেবা। এমন সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রেও নেই‍।

তাই আর দেরি নয়, যোগ্যতা থাকলে এখনই আবেদন করে হয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী নাগরিক।

বাংলাদেশে দক্ষতা, সততা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সফল অভিবাসন আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ (রাজু)। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্ট লিমিটেডের কর্ণধারও তিনি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, এমনকি শ্রীলংকা থেকেও প্রতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অনেক মানুষের মাইগ্রেশন হচ্ছে। আর প্রতি বছর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রচুর গ্র্যাজুয়েট হচ্ছে। কিন্তু অধিক যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেবল IELTS পরীক্ষা ভীতির কারণে বাংলাদেশিরা অস্ট্রেলিয়া যেতে পারছে না।

উন্নত দেশে বসবাসে আগ্রহী তরুণদের উদ্দেশ্যে ড. রাজু বলেন, নিজের যোগ্যতার প্রতি সুবিচার করুন, নিজের ওপর আস্থা রাখুন। সঠিক সময়ে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে অস্ট্রেলিয়া মোটেও দূরের স্বপ্ন নয়।

অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন বিষয়ে আরো তথ্য জানতে ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন [email protected] মেইল ঠিকানায়। যোগাযোগ করতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ভাইবারে +60143300639 নম্বরে। ভিজিট করতে পারেন www.wwbmc.com. ওয়েবসাইটে।

ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথের খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও খোঁজ নিতে পারেন। ফোনে প্রাথমিক তথ্যর জন্য কথা বলতে পারেন ০১৯৬৬০৪১৫৫৫ বা ০১৯৯৩৮৪৩৩৪০ নাম্বারে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com