রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন

অভিবাসী শ্রমিকদের ভর্তুকিযুক্ত পণ্য ক্রয়ে বাধা না দেওয়ার আহ্বান

  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩

অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে নর্থ-সাউথ ইনিশিয়েটিভের পরিচালক আদ্রিয়ান পেরেইরা বলেছেন, ভর্তুকি শুধুমাত্র একজনের অর্থনৈতিক শ্রেণির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা উচিত, জাতীয়তা অনুযায়ী নয়।

মালয়েশিয়া সরকারকে অবশ্যই সাদা চাল এবং রান্নার তেলের মতো ভর্তুকিযুক্ত পণ্যগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের জন্যও নির্ধারণ করা উচিত। কারণ মালয়েশিয়া তার উন্নয়নের জন্য অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, ভর্তুকি অবশ্যই একজন ব্যক্তির জাতীয়তার পরিবর্তে কেবলমাত্র একজন ব্যক্তির অর্থনৈতিক শ্রেণির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা উচিত। ১৪ সেপ্টেম্বর, একটি টিকটক ভিডিও প্রকাশ করেছে, তাতে দেখানো হয়েছে যে, বেশ কিছু স্থানীয় একটি সুপারমার্কেটে ভর্তুকিযুক্ত রান্নার তেল কেনার জন্য অভিবাসী শ্রমিকদের দেখা গেছে।

ভিডিওটি রেকর্ড করা ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, অভিবাসী শ্রমিকরা তাদের বন্ধুদের জন্য রান্নার তেল মজুত করেছিল এবং সুপার মার্কেটে ঘাটতি তৈরি করেছিল।

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে গোলটেবিল আলোচনায় পেরেইরা বলেন, সরকারি ভর্তুকি পাসপোর্টের ওপর ভিত্তি করে করা উচিত নয়, বিষয়টি সরকারকে বিবেচনা করতে হবে।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে গোলটেবিল আলোচনায়, অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং নিরাপদ, নিয়মিত মাইগ্রেশন নিশ্চিত করে এমন নীতিগুলোকে কীভাবে প্রচার করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে বলে মত দেয়। আলোচনায়, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, দূতাবাস, নাগরিক সমাজ সংস্থা, অভিবাসী সম্প্রদায় এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

শুক্রবার আইওএম কর্তৃক অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং নিরাপদ, নিয়মিত মাইগ্রেশন নিশ্চিতে, গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, দূতাবাস, নাগরিক সমাজ সংস্থা, অভিবাসী সম্প্রদায় এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা। ছবি- সংগৃহীত

আলোচনা শেষে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মালয়েশিয়ায় নথিবিহীন অভিবাসীদের দুর্দশার বিষয়ে ২০ অক্টোবর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন ৪০ জন অবৈধ অভিবাসীর ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে, সমীক্ষায় দেখা গেছে, অভিবাসী কর্মীর বেশিরভাগই শোষণ, অপব্যবহার বা অনৈতিক নিয়োগের কারণে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরে অবৈধ হয়ে গেছে।

৪০ জন অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে ২৪ জন শোষণ, অনৈতিক নিয়োগ, বা অন্যান্য শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের (তাদের এজেন্ট বা নিয়োগকর্তাদের) অভিযোগ করেছেন।

এক্ষেত্রে, কম বেতন অসন্তোষের প্রধান কারণ ছিল, তারপরে নিয়োগকর্তারা পাসপোর্ট আটকে রেখেছেন। তাদের কম বেতনের মানে হলো যে নিয়োগকর্তারা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেতন এবং ওভারটাইম প্রদান করেনি মর্মে সমাজবিজ্ঞানী আশা রথিনা পান্ডি বলেছেন, যিনি প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

মোনাশ ইউনিভার্সিটির আশা বলেন, এই অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে কয়েকজনকে এজেন্ট মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারিত করেছে। এমনকি মালয়েশিয়ায় যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে চুক্তিতে সই করতে বলা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে সরকারকে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ ও কর্মসংস্থানের শাসন, নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণের উন্নতির জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে।

অভিবাসী কর্মীদের বৈধ অবস্থা বজায় রাখতে এবং নিয়োগকর্তা এবং কর্তৃপক্ষকে তাদের জন্য উপযুক্ত জীবনযাপন এবং কাজের পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে সহায়তার আহ্বান জানানো হয়েছে।

২০১৯ সালের বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, বৈদেশিক শ্রমিক নির্ভর মালয়েশিয়ায় আনুমানিক ১.২ মিলিয়ন থেকে ৩.৫ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসী শ্রমিক ছিল।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com