রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩

কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ: আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় অনেক শিক্ষার্থী দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য যায়। দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসার জন্য এপ্লাই করা লাগে। আপনি যদি পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে যেতে চান, তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে হবে।

অনেকেই জানতে চান কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ হবে। আজকে আমরা স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে আলোচনা করবো। এছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত ও কিভাবে শুনেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় তা জানাবো। চলুন দেরি না করে, স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ

একেক দেশের স্টুডেন্ট ভিসা একেক রকমের হয়। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা ইন্ডিয়া যেতে চান, তাহলে আপনার ভিসার নিয়ম নীতি গুলো আলাদা হবে। আবার আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যান, তাহলে আপনার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আলাদা যোগ্যতা লাগবে। অর্থাৎ স্টুডেন্ট ভিসার জন্য বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন রকম রিকোয়ারমেন্ট আছে।

আপনি নিশ্চয়ই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করতে চান। এজন্য কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ হবে এটা জানতে চাচ্ছেন। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সব থেকে সহজ হয় ইন্ডিয়া, চায়না, মালয়েশিয়া ও কাতার। এই কয়েকটি দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।

এছাড়াও আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া একটু কঠিন। কারণ উন্নতশীল দেশের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে হলে আপনার মেধাশক্তি অনেক ভালো থাকতে হবে। এছাড়াও IELTS স্কোর অনেক বেশি থাকতে। যারা ইংরেজিতে অনেক ভালো। তারা ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারবে।

এই কারণে আপনি যে দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে চান। সেই দেশের নীতিমালা মেনে পড়াশোনা শুরু করুন। এছাড়াও আপনার বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা বহন করার মত টাকা থাকতে হবে। এই কয়েকটা যোগ্যতা থাকলে, আপনি পৃথিবীর যে কোনো দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ হবে এটা জানার পর, আপনি কি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা গুলো জানতে হবে। কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা অনেক সহজ। কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা গুলোর নিম্নরূপ:-

  • প্রথমে আপনার বৈধ একটি ইমিগ্রেশন/পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  • কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন এইচএসসি পাস হতে হবে।
  • আপনার নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে।
  • কানাডায় গিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান, সেই ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রণ পত্র লাগবে।
  • আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড/অনলাইন জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীর কানাডায় গিয়ে ইউনিভার্সিটি খরচ, বাসা ভাড়া দেওয়ার খরচ ও পড়াশোনা খরচ বহন করার টাকা থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই করোনা ভ্যাকসিন নিতে হবে।

উপরে কয়েকটি কাগজপত্র হলে, আপনি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য করোনা ভাইরাসের টিকা নেয়া অত্যন্ত জরুরি। আপনি যদি টিকা গ্রহণ না করে থাকেন। তাহলে দ্রুত করোনা টিকা গ্রহণ করুন।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

আমাদের দেশ থেকে যে সকল শিক্ষার্থী বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করতে চায়, তাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আমেরিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা অনেক বেশি। কারণ আমেরিকা গিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করলে, কর্মজীবনের চাকরি পাওয়া অনেক সহজ হয়। এছাড়াও আপনি যদি আমেরিকা থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে আসেন, তাহলে আপনার মাসিক বেতন অনেক বেশি হবে।

এই কারণে প্রতিটি স্টুডেন্ট চায় আমেরিকা গিয়ে পড়াশোনা করার। কিন্তু আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনা করার মত অর্থ আমাদের দেশের অনেক স্টুডেন্ট বহন করতে পারে না। আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গেলে আপনার সর্বনিম্ন ৫/৬ লক্ষ টাকা লাগবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা লাগার পাশাপাশি আপনার অনেক যোগ্যতা থাকতে হবে।

আপনার IELTS স্কোর অনেক ভালো হতে হবে। আপনাকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সন্তুষ্টজনক রেজাল্ট করতে হবে। আপনার এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন ভালো হতে হবে। এছাড়াও আপনি যে ইউনিভার্সিটি গিয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ পত্র লাগবে। আমাদের অনেকে প্রশ্ন করেন, কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ হবে। আশাকরি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি। আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া একটু কঠিন। কিন্তু আপনি যদি চেষ্টা করেন, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমেরিকান ভিসা পাবেন।

ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

আমেরিকার পর অনেক শিক্ষার্থী চায় যুক্তরাজ্যে গিয়ে পড়াশোনা করার। বিশ্ব বিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা সবার রয়েছে। আমার নিজেরও অনেক ইচ্ছা ছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার। কিন্তু আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা আর ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা ভিন্ন ছিল। এই কারণে আমি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পায়নি।

কিন্তু আপনার যদি এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন অনেক ভালো থাকে। ইংল্যান্ডে গিয়ে পড়াশোনা করার পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকে। তাহলে আপনি ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পড়াশোনার জন্য প্রথমে আপনার IELTS স্কোর এর দিকে নজর দিতে হবে। আপনি যদি যুক্তরাজ্য গিয়ে পড়াশোনা করতে চান, তাহলে আপনার IELTS স্কোর অনেক ভালো হতে হবে।

ইংল্যান্ডে গিয়ে পড়াশোনার জন্য আপনার প্রথমে এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন লাগবে। তারপর আপনার পড়াশোনার খরচ সর্বনিম্ন ৫/৬ লক্ষ টাকা লাগবে। এই দুইটা জিনিস পূরণ করতে পারলে, আপনি খুব সহজেই ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

উপসংহার

আশা করি, কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সহজ হবে তা জানতে পেরেছেন। একেক দেশের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য একেক রকম যোগ্যতা লাগবে। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ইন্ডিয়া যেতে চান। তাহলে আপনার যোগ্যতা ও টাকা কম হলেও চলবে। কিন্তু আপনি যদি আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও টাকা পয়সা অনেক বেশি লাগবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com