শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

চিত্রশিল্প নিয়ে পড়া ও কাজের সুযোগ জাপানে

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

জাপান– দেশটির কথা চিন্তা করলে প্রথমেই হয়তো মাথায় আসবে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের কথা। তবে দেশটি শিল্প চর্চায়ও এগিয়ে। পেইন্টিং হলো জাপানে পছন্দের শৈল্পিক অভিব্যক্তি। একটা সময় জাপানিরা কলমের পরিবর্তে ব্রাশ দিয়ে লিখত। ব্রাশের কৌশলগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাদের পেইন্টিংয়ের মূল্যবোধ। এছাড়া প্রতিটি ক্ষেত্রে শৈল্পিক নান্দনিকতার বিশেষভাবে সংবেদনশীল জাপানিজরা। দেশটিতে শিল্পকলায় উচ্চ শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশিদের।

জাপানে সব কিছুতেই শিল্পের ছাপ রয়েছে। মৃৎশিল্প, ভাস্কর্য, চিত্রকলা, ক্যালিগ্রাফি, উকিও-ই পেইন্টিং, কাঠের ব্লক প্রিন্ট, সিরামিক প্রিন্টসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিস্তৃত জাপানের শিল্প চর্চা। জাপানে পেইন্টিংকে সব চেয়ে বেশি গুরত্ব দেওয়া হয়। রঙ দিয়ে চিত্রকে ফুটিয়ে তোলার সূক্ষ্ম শিল্পকে ঐতিহ্যগতভাবে জাপানিজরা পছন্দ করেন। যেখানে নন্দনতত্ত্বের মৌলিক বিষয়গুলো অনুশীলন করা হয়। জাপানি পেইন্টিং-এ ‘কানউ-স্টাইল’, ‘এনজান-শিজু-স্টাইল’ এবং ‘ইয়ামাটো-স্টাইল’ বেশি জনপ্রিয়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা নিতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যান শিক্ষার্থীরা। তবে জাপানে শিল্পকলা অধ্যয়ন করা সুযোগ রয়েছে। শিক্ষা শেষে জাপানে একজন শিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার ও আয়ের সুযোগও রয়েছে।

জাপানে কাহাল গ্যালারি নামে একটি আর্ট গ্যালারি পরিচালনা করছেন কামরুল হাসান লিপু। ২০০৮ সাল থেকে জাপানে চিত্র শিল্প নিয়ে কাজ করছেন তিনি। কাহাল গ্যালারি প্রতিষ্ঠান করেন ২০১৭ সালে।

কামরুল হাসান লিপু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জাপান পেইন্টিং এর জন্য বড় জায়গা। জাপান এশিয়ার মধ্যে হলেও এখানে শিল্প ধারাটা ভিন্ন রকমের। জাপানে যে কোনও সেক্টরে শিল্পীর পরামর্শ নেওয়া হয়। সব কিছুর মধ্যে শৈল্পিক একটি বিষয় ফুটে ওঠে। জাপানে ছবির নিয়ে বড় বড় ধরনের নিলাম হয়।

বাংলাদেশি চিত্রশিল্পীদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে কামরুল হাসান লিপু বলেন, আমরা আমাদের গ্যালারির মাধ্যমেও তরুণ শিল্পীদের প্রমোট করার চেষ্টা করছি। প্রতি বছর আমরা এক্সিবিশন করি। এখানে যে কেউ শিল্প নিয়ে কাজ করতে পারেন। পেইন্টিং-এর পাশাপাশি ডিজাইনের ক্ষেত্রেও জাপান বড় বাজার।  আমাদের এ বাজার ধরতে হলে জাপানিজ ভাষায় ক্ষমতা অর্জন প্রয়োজন।

জাপানে শিল্পে উচ্চ শিক্ষা প্রসঙ্গে কামরুল হাসান লিপু বলেন, আগে বাংলাদেশ থেকে আর্ট  নিয়ে পড়াশোনা জন্য জাপানে আসতেন অনেকে, এখন সেটা কমে গেছে। জাপানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা আছে। এমনকি এই কোটা এশিয়ার, ইউরোপ ভিত্তিক আলাদা আলদা। বেশির ভাগ সময় দেখা যায় এশিয়ার কোটা পূরণ হয় না। জাপানের সঙ্গে আমাদের ভাষাগত বাধা আছে। সেটি যদি ওভারকাম করতে পারি তবে বাংলাদেশ থেকে জাপানে উচ্চ শিক্ষার পথ প্রসারিত হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com