উন্নত দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার ইচ্ছে প্রায় সবারই থাকে। তাই নিজ দেশের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা বেশি, জীবনযাত্রার মান উন্নত —এমন দেশগুলোতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য নাগরিকত্ব লাভ করতে চান অনেকেই। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকান দেশগুলো নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সহজ মনোভাব দেখায়। তবে নাগরিকত্ব প্রদানের আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করা হয়।
বৈবাহিক সূত্রে
যখন আপনি অন্য একটি দেশের মেয়েকে বিয়ে করছেন; তখন আপনি বৈবাহিক সূত্রে সেই দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে ন্যূনতম ৩-৫ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এটি নাগরিকত্ব পাওয়ার অন্যতম সহজ উপায়।
বিনিয়োগের মাধ্যমে
বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের বিনিয়োগ নীতিমালা মেনে চলতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে, যা তাদের বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত। যেমন- কানাডাতে আপনাকে ন্যূনতম দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। আর এ বিনিয়োগের মাধ্যমেই পাবেন নাগরিকত্ব। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। এ পদ্ধতি পৃথিবীর অনেক দেশেই চালু আছে।
প্রাকৃতিকভাবে
যখন আপনি একটি দেশে বৈধভাবে ন্যূনতম ৫-১০ বছর বসবাস করবেন এবং সে দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতিফলন নিজের মধ্যে ঘটাবেন; তখন আপনি এমনিতেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
পড়াশোনা শেষে
আপনি পড়াশোনা শেষে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এ পদ্ধতি পৃথিবীর সব দেশে চালু নেই। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে পড়াশোনার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।